কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এমনিতেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। এবং সেই কারণে বাংলায় ভোট শুরুর মাত্রই সপ্তাহখানেক আগের এই ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজনকে কার্যত চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মাসকয়েক আগেই যথেষ্ট সফল ব্রিগেড সমাবেশ করেছে। ফলে কোনও অবস্থাতেই যাতে নিজেদের আয়োজনে খামতি থেকে না যায়, সেই কারণেই ব্রিগেড ভরানোর জন্য এভাবে লোক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে অমিত শাহের দপ্তর।
দলীয় সূত্রের খবর, একইদিনে রাজ্যের দু’জায়গায় মোদির প্রকাশ্য সমাবেশ হওয়ায় লোক জমায়েত নিয়ে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ ওইদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে প্রকাশ্য সমাবেশ করবেন। তা শেষে তিনি উড়ে আসবেন ব্রিগেডে। ফলে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব এবং সেখানকার দলীয় কর্মী, সমর্থকেরা স্বাভাবিকভাবেই আর ব্রিগেডমুখো হতে পারবেন না ওইদিন। তাঁরা উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গের সমাবেশেই। ফলে শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির উপর নির্ভর করে নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে দশ লক্ষ লোক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। যা নিয়ে যথেষ্টই চাপে রয়েছেন তাঁরা। কারণ শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির উপর ভরসা করে এই টার্গেট পূরণ করা আদৌ কতটা সম্ভব, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের একেকটি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক ব্রিগেড সমাবেশে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা রয়েছে মোট ৩৮টি। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের সাংগঠনিক জেলাগুলি হল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ। আর দক্ষিণবঙ্গের বিজেপির সাংগঠনিক জেলাগুলি হল মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ উত্তর, নদীয়া উত্তর, নদীয়া দক্ষিণ, বারাসত, বসিরহাট, বারাকপুর, কলকাতা উত্তর শহরতলি, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা দক্ষিণ শহরতলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম), হাওড়া টাউন, হাওড়া গ্রামীণ, তমলুক, কাঁথি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান, কাটোয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর, আরামবাগ এবং বীরভূম। ব্রিগেডের জন্য দশ লক্ষ লোক জমায়েতের টার্গেট বিজেপিকে পূরণ করতে হবে শেষোক্ত এই ৩০টি সাংগঠনিক জেলা থেকেই। এ ব্যাপারে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদির যে ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছিল, তাতে কমবেশি পাঁচ লক্ষ লোকের জমায়েত হয়েছিল। এবার সেই টার্গেট বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তার কারণ পাঁচ বছর আগে রাজ্যে বিজেপির যে সাংগঠনিক পরিস্থিতি ছিল, এখন তা আমূল পরিবর্তিত হয়েছে।’