কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিটের ভূমিকাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক অফিসারের কথায়, সিটের হাতে যে এফআইআর এসেছিল, তা তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু এর বাইরেও আরও অনেক এফআইআর করা হয়েছিল। সেগুলি সিটের কাছে পাঠানো হয়নি। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা রোজভ্যালির বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে রুজু হওয়ার মামলার প্রসঙ্গ তুলেছেন। যা তাঁদের কাছে পাঠানো হয়নি। এমনটা কেন হল, তা জানা প্রয়োজন। আর সেকারণেই সিটের দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকা পুলিস কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা জরুরি বলে মনে করেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিট যে সমস্ত চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল, সেই সমস্ত সংস্থায় একাধিকবার তল্লাশি হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি। কিন্তু এর অনেকটাই তারা হাতে পায়নি। আর দেওয়া হলেও তাতে অনেক জায়গায় ফাঁক রয়েছে। সংস্থার ডিরেক্টরদের কল ডিটেলসের অনেক নথিও পুরোপুরি হাতে পায়নি সিবিআই। অনেক নথি এতটাই অস্পষ্ট যে, পড়ে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ঠিকমতো সংরক্ষণ না হওয়ার কারণেই এসব ঘটেছে। এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই। যে কারণে বহু নথি ও তথ্য তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সংগ্রহ করেছে। এখন নথিগুলি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসারদের কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা তৎকালীন পুলিস কর্তাদের কাছ থেকে জানা প্রয়োজন। পাশাপাশি কল ডিটেলসের পুরো তথ্য কেন পাওয়া যায়নি, তা পুলিস কর্তারা কখনও জানতে চেয়েছিলেন কি না, তা জানা প্রয়োজন। একইসঙ্গে ফেরার থাকাকালীন সুদীপ্ত সেন কারও সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন কি না, তা জানা প্রয়োজন। যা কেবলমাত্র সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের সঙ্গে কথা বললেই পরিষ্কার হওয়া যাবে।
এদিকে, দিল্লির যে তদন্তকারী দলটি শুক্রবার কলকাতায় আসে, সেই দলের সব সদস্যই শনিবার শিলংয়ে এসে পৌঁছেছেন। চিটফান্ড সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন। মূলত কে বা কারা এক্ষেত্রে জড়িত, তা খুঁজে বের করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।