প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ও খারাপ যে, বৃহস্পতিবারও বহু মানুষকে ঘর ছেড়ে আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিতে হয়েছে। কারণ, সন্ধ্যার পর আলো না-থাকায় জেলার অধিকাংশ এলাকা ভুতুড়ে চেহারায় পরিণত হয়েছে। এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসন স্বীকার করেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। কিন্তু এখনই তার সঠিক হিসেব কষা মুশকিল। কারণ, যোগাযোগের যে ব্যবস্থা বিশেষ করে মোবাইল সহ অন্য নেটওয়ার্ক একেবারে ভেঙে পড়েছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ নেই। এজন্য বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, ক্যানিং মহকুমা থেকে সঠিক চিত্র পাওয়া যায়নি। তবে একটা আভাস এসেছে তা হল, সব জায়গাতে স্বাভাবিক জনজীবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক হাজার ঘর ভেঙেছে, জলে ডুবে ফসল নষ্ট হয়েছে। সাগরের কচুবেড়িয়া, ডায়মন্ডহারবারের বন্দরের জেটি ভেঙেছে। ডায়মন্ডহারবার আদালতের একটি এজলাস বড় গাছ পড়ে ভেঙে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে ঝড় থেমে যাওয়ার পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জোর কদমে গাছ ও খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
এদিনও প্লাবিত এলাকার বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে তুলে আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ কবে ফিরবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের লোকজন কাজে নামলেও ঝড়ের তাণ্ডবলীলার পর ধ্বংসস্তূপ সরাতে এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।