প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
বিভিন্ন সূত্রের খবর, বুধবারের তুমুল ঝড়ের জেরে শহরের বেশ কিছু সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালের সামনে রাস্তায় গাছ পড়ে, জল জমে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়। মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, পিজি হাসপাতালের ভিতরে গাছ পড়ে যায়। স্বাস্থ্য দপ্তরের হেডকোয়ার্টার্স সল্টলেক স্বাস্থ্যভবনের সামনেও গাছ পড়ে যাতায়াতের সমস্যা হয়। এদিকে, বুধবার, সুপার সাইক্লোনের পর দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মহামারীবিদরা। বিশেষত দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ার গ্রামীণ, সমুদ্র ও নদনদী তীরবর্তী সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে করোনার দাপট বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। কেন? সাইক্লোনের সঙ্গে করোনার কী সম্পর্ক? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্রলয় চালানো উম-পুন থেকে বাঁচাতে কয়েক লক্ষ মানুষকে সাইক্লোন শেল্টার ও ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত অভিঘাত মালুম হওয়ায় সে প্রক্রিয়া অব্যাহত। ত্রাণ শিবির ও শেল্টারগুলিতে নানা জায়গার মানুষ আসছেন। ঝড়ের কবলে প্রায় সর্বস্ব চলে যাওয়াদের পক্ষে এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন, অনেক ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব। স্ত্রী, সন্তান, প্রিয়জনদের মাথা গোঁজার ছাদ ও দু’বেলা খাবার জোগাবেন, নাকি ন্যূনতম এক মিটার দূরে থাকার নিয়ম মানবেন তাঁরা? তাই প্রবল বিপদে পড়া রাজ্যকে এই পরিস্থিতিতে গভীর সমস্যার মধ্যেও যতটা সম্ভব ত্রাণ শিবিরগুলির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষত উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মাধ্যমে বহু মানুষের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জল জমা বা বন্যা হলে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির বৈজ্ঞানিক কারণ আছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশে নিকাশিনালায় করোনা ভাইরাস মিলেছে। আক্রান্ত মানুষের মলে মিলেছে। তবে বন্যা, জল জমায় এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়বে, এমন তথ্য নেই।