প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
সাগরের বিধ্বস্ত গ্রাম মনসাদ্বীপের নীলমাধব একা নন। এরকম বহু মানুষ বৃহস্পতিবার সকালে আশ্রয় শিবির থেকে ভিটেতে ফিরেই এমন ভয়ঙ্কর ছবি দেখতে হবে কেউ কল্পনায় আনতে পারেননি। একজনের কথায়, ভাগে দু’বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম। দিনমজুরের কাজ করে সেই পয়সা দিয়ে চাষের খরচ জুগিয়েছি। আশা করেছিলাম, এবার ধান ওঠার পর তা বিক্রি করে ঘরের মেঝেটা পাকা করব। কিন্তু, মাঝে লকডাউনে কোনও কাজ জোটেনি। তা সামাল দেওয়ার আগেই এই ঝড়। তাড়াহুড়ো করে জমি থেকে ধান কেটে ঘরের বারান্দায় ঢাকা দিয়ে রাখা ছিল। সেই ধানের কিছু অবশিষ্ট নেই। কীভাবে চালাব?
এক সব্জি চাষির ভিটেঘরের সঙ্গে জলের তলায় চলে গিয়েছে দু’বিঘা জমির ঢেঁড়স ও পেঁপের চাষ। পেঁপে গাছগুলির কোনওটা গোড়া থেকে, কোনওটার মাঝখান থেকে উড়ে গিয়েছে। বললেন, ধার করে চাষ করেছিলাম। এখন ধার শোধ দেওয়ার কোনও উপায় রইল না। এই অবস্থায় ভিক্ষা ছাড়া কোনও পথ নেই। আর কার কাছেই বা ভিক্ষা চাইব! লকডাউনে এমনিতে সকলেই রোজগারহীন। এমন ভয়াবহ করুণ অবস্থার মুখে আগে কখনও পড়িনি।