পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পার্ক সার্কাসের লোহা পুলের কাছে গুলিবিদ্ধ হন শেখ ময়না নামে এক যুবক। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ময়না স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস প্রথমে জানার চেষ্টা করে, কে বা কারা এই গুলি চালাল। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে অফিসাররা জানতে পারেন, সাকির ও তার আত্মীয় নৌশাদ এই ঘটনায় জড়িত। গুলি চালিয়েছে নৌশাদই। শনিবার রাতে সাকির ফোন করে ডেকে পাঠায় শেখ ময়নাকে। পার্ক সার্কাসে রেললাইনে তারা দু’জনে দেখা করে। পুলিস জেনেছে, এই সময় ময়নার স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য করে সাকির। তাতেই রেগে যায় ময়না। সাকিরকে ব্লেড চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত হয় সে। সাকির তার আত্মীয় নৌশাদকে বলে, তাকে মারার চেষ্টা করেছে ময়না। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় হাজির হয় নৌশাদ। প্রথমে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। এরপর তাঁকে তাড়া করে অভিযুক্ত। রেললাইন পেরোনার পরই ময়নাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নৌশাদ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিস এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তদন্তে উঠে আসছে, তিনজনই এলাকায় নিষিদ্ধ মাদকের কারবার চালায়। রেললাইনের উপর তা চলে আসছে। মাদক বিক্রি করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল অনেক দিন ধরেই চলছিল। দু’জনেই একে অপরকে এলাকা ছাড়া করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। মৃত ময়নার স্ত্রীর একাধিক জনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে আগেও কটূক্তি করে সাকির। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। শনিবারও এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। পাশাপাশি অফিসাররা জেনেছেন, এলাকায় প্রোমোটিং করে অভিযুক্তরা। শেখ ময়নাও সম্প্রতি এই ব্যবসায় নেমেছিল। নৌশাদের বেশ কয়েকটি প্রজেক্টে সে বাধা দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলাও হয়। তা থেকেও শনিবারের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অফিসাররা। মৃত ময়নার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হচ্ছে খুনের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে।