কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
রামশাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মৎস্য বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, চিংড়ি চাষ অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। তবে ঠিকমতো এই চাষ করতে পারলে মাছ চাষিরা অত্যাধিক লাভের মুখ দেখতে পারবেন। সেকারণে চিংড়ি চাষে আমরা প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে একটি প্রজেক্ট শুরু করতে চলেছি। এই প্রজেক্টের জন্য ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লকে একটি করে মোট দু’টি পুকুরের আমরা খোঁজ করছি। আমরা দক্ষিণবঙ্গ থেকে চিংড়ির চারা এনে তা পুকুরে ছাড়ব। সাধারণত গলদা চিংড়ি ১০-১২ মাসের মধ্যেই বিক্রয়ের যোগ্য হয়ে ওঠে। চিংড়ির চারা জলপাইগুড়ি জেলার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না তা দেখা হবে। প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা করে এগব। পুকুরে ১০০-১২৫ গ্রাম ওজনের চিংড়ি একবছর হয়ে গেলেই কৃষকেরা লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় আমরা একবিঘা পুকুরে এক থেকে দেড় হাজার চিংড়ির পোনা ছাড়ব। পরের বছর থেকে এই সংখ্যাটি আরও বাড়ানো হবে।
চিংড়ি চাষ মূলত নোনা জলে হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দক্ষিণবঙ্গ থেকে চিংড়ির চারা এনে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ভাবে এর মধ্যেই চাষ শুরু করা হবে। তবে প্রথমবারেই প্রচুর পরিমাণে পুকুরে চিংড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে না। প্রথম অবস্থায় অল্প সংখ্যক চারা পুকুরে ছেড়ে সেই চারাগুলি উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ায় বাড়ছে কি না তা দেখা হবে। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের আশা, তাঁরা পরীক্ষায় সফল হবেন। এর জন্য জেলায় ইচ্ছুক চাষিদের এগিয়ে আসতে আহ্ববান জানাচ্ছে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। গলদা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও তারা করবে। কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র চাইছে, জলপাইগুড়ি জেলায় মৎস্য চাষিরা চিংড়ি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠুক। কৃষি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি জেলায় প্রচুর পুকুর রয়েছে। এখানে অনেক পরিবার মাছ চাষ করে। কিন্তু চিংড়ি চাষের ব্যাপারে এখানকার চাষিদের সেভাবে উৎসাহ নেই। তাই তাঁদের মধ্যে উৎসাহ জোগাতেই এবার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র উদ্যোগী হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত মৎস্য চাষিদের মাছ চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গলদা চিংড়ি চাষ করে যাতে কৃষকরা সাফল্য পায় সেজন্য এবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।