Bartaman Patrika
 

 যাত্রায় এনেছিলেন নতুন যুগের হাওয়া
সন্দীপন বিশ্বাস

১৯৬৮ সাল। নানা পরিস্থিতিতে তখন অস্থির তাঁর জীবন। নিজের দল এলটিজি থেকে তখন তিনি বিতাড়িত। আগের বছরেই তাঁকে রাজনৈতিক কারণে জেলে যেতে হয়েছিল। চারিদিকের চেনা মানুষগুলি কেমন যেন অচেনা হয়ে উঠেছিল। তাঁর নাটক করার জায়গাটা তখন প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিনি থেমে থাকার পাত্র নন। তাঁকে চলতেই হবে। তাই তিনি অভিনয়ের অন্য মাধ্যম খুঁজছিলেন। ছবিতে অভিনয় চলছিল। কিন্তু পাশাপাশি তিনি যাত্রার দিকে ঝুঁকলেন। খুব ইচ্ছে ছিল যাত্রার মাধ্যমটিকে নিয়ে কিছুটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা। বারবার বলতেন, ‘প্রকৃত, নিয়মনিষ্ঠ শিল্পী যদি খুঁজতেই হয়, তবে যাত্রায় যেতে হবে।’ ততদিনে দেখে ফেলেছেন ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ, পঞ্চু সেনের অভিনয়। তাঁদের বলিষ্ঠ অভিনয় দেখে ঠিক করলেন যাত্রার জন্য পালা লিখবেন, নির্দেশনা দেবেন। তিনি উৎপল দত্ত। শুধু চলচ্চিত্র বা বাংলা নাট্যমঞ্চেই তাঁর অবদান ছিল তা নয়। অনেকটা অবদান তাঁর যাত্রাতেও রয়েছে।
যোগাযোগ ঘটে গেল। ১৯৬৮ সালে যাত্রার জন্য প্রথম পালা লিখলেন ‘রাইফেল’। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পটভূমিকায় লেখা। নতুন নাটক নয়। তাঁর ‘টোটা’ নাটকটিকেই একটু অদল বদল করেছিলেন। নিউ আর্য অপেরায় সেই নাটক একদিন পড়া হল। কিন্তু পালা শুনেই পঞ্চু সেন বলে দিলেন, ‘এই নাটক যাত্রায় চলবে না। খুব কঠিন হয়ে গিয়েছে। গ্রাম বাংলার দর্শক এই নাটক নেবে না।’
পঞ্চু সেনকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন উৎপল দত্ত। তিনিও বুঝতে পারলেন, এই নাটক বদল করা দরকার। তিনি বললেন, ‘আমাকে সাতদিন সময় দিন, আমি একটা নতুন নাটক লিখে দেব।’ কিন্তু ততদিনে ‘রাইফেল’ নাটকের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। নাম আর বদল করা যাবে না। তাই নামটি একই রেখে লেখা হল নতুন নাটক। ১৯৩০ সালের স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে লিখলেন নতুন নাটক। এবার পঞ্চু সেন বললেন, ‘শেষ দৃশ্যটা অন্যরকম করা দরকার। ঠিক জমেনি।’ সেই পরামর্শ মেনে উৎপল আবার তাঁর পালার পরিবর্তন করলেন। সেই নাটকে পঞ্চু সেন করেছিলেন ‘রহমৎ’ চরিত্র। রিহার্সালের সময় উৎপল দত্ত সব শিল্পীকে নানা বিষয় নির্দেশ করলেও পঞ্চু সেনকে কিছুই বলছিলেন না। পঞ্চুবাবু তাঁর নিজের মতো করে রিহার্সাল দিচ্ছিলেন। একদিন পঞ্চুবাবু বললেন, ‘আপনি সবাইকে সবকিছু বলে দিচ্ছেন, আমাকে কিছু বলছেন না তো!’ সে কথা শুনে উৎপল দত্ত বললেন, ‘আমি আপনার অভিনয় দেখে কিছু শিখছি।’ এমনই ছিল তাঁর শ্রদ্ধাবোধ।
১৯৬৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কাশী বিশ্বনাথ মঞ্চে অভিনীত হল ‘রাইফেল’। সারা ফেলে দিল সেই পালা। কিন্তু সেবছরই দলের মালিকের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে এমন সব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল যে, উৎপল সিদ্ধান্ত নিলেন, যাত্রায় আর নাটক দেবেন না। স্থির হল নিজেরাই যাত্রা দল গড়ে গ্রামগঞ্জে অভিনয় করবেন। তৈরি হল বিবেক যাত্রা সমাজ। দুটি পালা ঠিক হল। একটি ‘রাইফেল’ এবং অন্যটি ‘শোনরে মালিক’। কিন্তু বিবেক যাত্রা সমাজ চালানো গেল না। এর মধ্যেই সত্যম্বর অপেরার শৈলেন মোহান্তি এলেন উৎপল দত্তের কাছে। নতুন নাটক চাই। উৎপল দত্ত রাজি নন। কিন্তু মত বদলাতে হল। লিখলেন ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’। সেই কুখ্যাত হত্যাণ্ডের ঘটনা নিয়ে নাটক। পেলেন একদল ভালো অভিনেতাকে। ভোলা পাল (ছোট), মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, শিবদাস মুখোপাধ্যায়, তপনকুমার, মোহন চট্টোপাধ্যায়, জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়কে। রিহার্সালে এঁদের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন উৎপল।
পরের বছর পালা লিখলেন লোকনাট্যের জন্য। ‘দিল্লি চলো’। অসাধারণ হয়েছিল সেই পালা। সেখানে পেলেন শেখর গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেই বছরেই লোকনাট্যে দিলেন আর একটি পালা ‘সমুদ্রশাসন’। সমুদ্রগুপ্তকে নিয়ে লেখা পালা। আরও দুটি পালা সে বছর হয়েছিল, একটি ‘নীলরক্ত’। অভিনীত হয়েছিল ভারতী অপেরায় এবং অন্যটি ‘ভুলি নাই প্রিয়া’। অভিনীত হয়েছিল শ্রীমা অপেরায়।
যাত্রায় আসার আগে পালার আঙ্গিক নিয়ে তিনি জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। তখন শম্ভু বাগ, ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ পালাকারের প্রকাশিত বেশ কয়েকটি যাত্রার বই পড়ে তিনি পথ খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন। জানলেন যাত্রা কী, কেমন তার বৈশিষ্ট্য। কিন্তু তিনি পুরোপুরি সেই পথ অনুসরণ করলেন না। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন নিজস্বতা। যাত্রার আঙ্গিকের মধ্যে মিশিয়ে দিলেন নাটকের কম্পোজিশন এবং অভিনয়। বাচিক অভিনয়কেও অনেকটা বদলে দিলেন। শহরকেন্দ্রিক এলাকায় সেই সব পালা তুমুল সাফল্য পেলেও গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে, তা অনেকটাই অধরা থেকে গিয়েছিল। তাই তাঁর সব পালাকে সেই অর্থে হিট বলা যায় না। অর্থাৎ ব্রজেন দের ‘সোনাই দীঘি’, শম্ভু বাগের ‘হিটলার’, ‘লেনিন’ বা ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘একটি পয়সা’, ‘পাগলা গারদ’ বা ‘মা-মাটি-মানুষ’ যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, উৎপলের নাটক সেখানে পৌঁছতে পারেনি। এমনকী তরুণ অপেরায় শান্তিগোপাল তাঁর লেখা পালা ‘মাও সে তুং’ করেছিলেন, সেও বেশিদিন চলেনি। তার কারণ অবশ্য অন্য ছিল। উৎপল সেই নাটকে চিয়াং কাই শেকের চরিত্রটি দিয়েছিলেন গৌতম সাধুখাঁকে। কিন্তু সেটা মনঃপুত হয়নি শান্তিগোপালের। কেন না গৌতম তখন যাত্রায় নতুন। সুতরাং কয়েক পালার পর বন্ধ হয়ে যায় ‘মাও সে তুং’।
নির্দেশনার ক্ষেত্রে উৎপল দত্ত ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এটা অবশ্য বলাই যায় যে যাত্রায় তিনি এক ধরনের আধুনিকতার জন্ম দিয়েছিলেন। অবশ্য বিচার করলে বলতেই হয়, তিনি সময়ের চেয়ে একটু বেশি এগিয়ে ছিলেন। নাটকে যেমন একসময় নবনাট্য এসেছিল, চলচ্চিত্রে যেমন একটা নতুন ধারার ছবি তৈরির হাওয়া এসেছিল, উৎপল দত্তও যাত্রায় সেই নতুন যুগের হাওয়া আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। কেন না তাঁর মতো করে যাত্রাসৃষ্টি করার প্রতিভা পরবর্তীকালে পাওয়া যায়নি। তাই শুধু বাণিজ্যের নিরিখে তাঁর পালাকে মাপলে অনেকক্ষেত্রে ভুল হতে পারে।
অনেকে বলেন যাত্রায় রাজনৈতিক নাটকের তিনি ভগীরথ। কথাটা সর্বাংশে ঠিক নয়। তার আগেও যাত্রায় রাজনৈতিক নাটক হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক নাটককে নতুন ভাষ্যে উপস্থাপিত করেছিলেন। বলিষ্ঠ কনটেন্ট আর ফর্মের মধ্য দিয়ে সে সব প্রযোজনা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যাত্রায় উৎপল দত্ত সব সময় পছন্দ করতেন শেখর গঙ্গোপাধ্যায়, শিবদাস মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশেষ কয়েকজন শিল্পীকে। এছাড়া ছিলেন অনাদি চক্রবর্তী, ইন্দ্র লাহিড়ী, নিরঞ্জন ঘোষ, মুকুন্দ দাস, বীণা ঘোষ, বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। তরুণরা তাঁর ঘরানাতেই গড়ে উঠেছিলেন। আর প্রবীণরা পেয়েছিলেন অভিনয়ের পূর্ণতার স্বাদ। তৈরি হয়েছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধার একটা স্থান।
বিজন মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ‘দিল্লি চলো’ পালায় বিজনবাবু অভিনয় করতেন ইংরেজ কর্নেল ব্রেনানের ভূমিকায়। রিহার্সালের আগে উৎপল দত্ত যখন তাঁকে দেখেন তখন তিনি লুঙ্গি পরা। বিড়ি টানছিলেন। এই মানুষটি সাহেবের ভূমিকায় অভিনয় করবেন, ভাবতে কেমন সঙ্কোচ হচ্ছিল উৎপলের। কিন্তু মঞ্চে তাঁর অভিনয় দেখে তিনি চমকে গিয়েছিলেন। পরে তিনি বলেছিলেন, ‘ইংরেজের ভূমিকায় এত ভালো অভিনয় তিনি আগে দেখেননি।’ মঞ্চে একটা দৃশ্য ছিল ব্রেনান বিপ্লবী প্রদ্যোতের চোখ উপড়ে নিচ্ছে। প্রদ্যোতের ভূমিকায় ছিলেন শেখর গঙ্গোপাধ্যায়। সেই দৃশ্যে ব্রেনানের নিষ্ঠুরতার অভিনয় দেখে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চে উঠে পড়তেন ব্রেনানকে মারতে।
এরপর একে একে ‘সন্ন্যাসীর তরবারি’, ‘ঝড়’, ‘বৈশাখী মেঘ’, ‘সীমান্ত’, ‘তুরুপের তাস’, ‘সাদা পোশাক’, ‘দামামা ঐ বাজে’ ইত্যাদি পালা অভিনীত হল। কুড়ি বছর তিনি যাত্রার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে তিনি লিখেছিলেন বাইশটি পালা। সব পালা তেমন দাগ কাটেনি। হিট এবং ফ্লপ মিশিয়েই তিনি রাজত্ব করেছেন।
যাত্রায় উৎপল দত্তের কেরিয়ার নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যাত্রা গবেষক দিবাকর ভৌমিক বলেন, ‘উৎপল দত্ত মঞ্চরীতির একজন দক্ষ নির্দেশক। সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে পালাকার রূপে তাঁর সম্পর্কে অভিযোগ আছে, যা মামুলি নয়। যাত্রাপালার যে সাধারণ বৈশিষ্ট্য, তা তাঁর কোনও পালাতেই নেই। সত্যি কথা বলতে কী এগুলিকে পালা না বলে নাটক বলাই শ্রেয়। তাঁর নাটকগুলির মধ্যে দু’চারটি জনসমাদর পেলেও কয়েকটি তো দারুণভাবে ব্যর্থ। গ্রামবাংলায় তাঁর নাটকগুলি জনপ্রিয়তায় ব্রাত্য।’
এই মত মেনে নিলেও বলতে হয়, উৎপল দত্ত যাত্রায় একটা যুগ। উৎপল দত্ত যাত্রায় এক নতুন ভাষ্যের রূপকার। অসীম শ্রদ্ধা ছিল তাঁর যাত্রার প্রতি। একবার তাঁর সঙ্গে একটি ছবির শ্যুটিংয়ের অবসরে নানা বিষয়ে কথা হয়েছিল। বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে যাত্রা প্রসঙ্গও এসেছিল। সেদিনই বুঝেছিলাম যাত্রা এবং যাত্রাশিল্পীদের প্রতি কতটা তাঁর শ্রদ্ধাবোধ। বলেছিলেন, ‘যাত্রায় যুক্ত হয়ে বুঝেছি এখানে কত শক্তিশালী শিল্পীরা আছেন। প্রফেশনালিজম শিখতে হলে যাত্রার শিল্পীদের থেকেই শেখা উচিত। দেখেছি তাঁদের কাছে যাত্রা একটা ধর্মের মতো। শিল্পকে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছে যাত্রা। সেটা নাটক পারেনি।’
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
13th  July, 2019
তবুও নিয়তিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই চলবেই
রানি ক্রেউসা

গ্রিক ট্র্যাজেডির অন্যতম উপাদান হল ‘ফেট’ বা ‘অদৃষ্ট’ বা ‘নিয়তি’। প্রাচীন গ্রিসে এই ধারণা ছিল যে, ভাগ্যের তিন দেবী মানুষের অদৃষ্টে যে পরিণতি লিখে দিয়েছেন তা মানুষ কোনওভাবেই বদলাতে পারে না, তা সে যত চেষ্টাই করুক না কেন। অদৃষ্টের মারে মূল চরিত্রের যে পতন তাকে ঘিরেই নাটকের প্রধান দ্বন্দ্ব বা সংকট সৃষ্টি হয়।
বিশদ

17th  August, 2019
বিষ্ণু বসু ও নীতিকা বসু স্মারক বক্তৃতা 

বিষ্ণু বসু ও নীতিকা বসুর স্মৃতিতে প্রতিবছরের মতো এবারও দু’দিন ধরে বক্তৃতাসভার আয়োজন করেছিল কালিন্দী ব্রাত্যজন।   বিশদ

10th  August, 2019
একসঙ্গে ছোটদের তিনটি নাটক 

সম্প্রতি ‘দি বয়েজ ওন লাইব্রেরি’ নিবেদিত এবং ‘দি বয়েজ ওন শিশু কিশোর নাট্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ প্রযোজিত তিনটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটক একসঙ্গে মঞ্চস্থ হলো। ‘পাখিদের পাঠশালা’, ‘আঁধার বনের আলো’ এবং ‘ভাঙ্গা ম্যাকবেথ’, এই তিনটি নাটকের শিল্পীরা শিশু এবং কিশোর।   বিশদ

10th  August, 2019
যাত্রার গব্বর সিং ছিলেন দিলীপ চট্টোপাধ্যায় 

সোনাই দীঘি পালার ভাবনা কাজির রূপকার নটসূর্য দিলীপ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস। 
বিশদ

10th  August, 2019
শাড়ির সঙ্গে বুটজুতো পরে কলেজে যেতেন

আগামী ৫ আগস্ট কেয়া চক্রবর্তীর জন্মদিন। নান্দীকারে থাকাকালীন তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, সেই অভিজ্ঞতায় ভর করে তাঁকে স্মরণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য।
বিশদ

03rd  August, 2019
সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান
করলেন থিয়েটারকর্মী এস রঘুনন্দন

গত ১৭ জুলাই মঙ্গলবার তাঁর নাম ঘোষিত হয় ২০১৮ সালের সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে। পরদিন অর্থাৎ ১৮ জুলাই বুধবার সামাজিক সংযোগ মাধ্যমগুলিতে একটি খোলা চিঠি লিখে সেই পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করলেন কর্ণাটকের নাট্যব্যক্তিত্ব এস রঘুননন্দন। বিশদ

03rd  August, 2019
 ভীষণভাবে রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক এক নাটক
সীতায়ন

 দীর্ঘ বনবাস কাটিয়ে, রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করে, অবশেষে অযোধ্যা ফিরলেন রামচন্দ্র। স্বামীর অপেক্ষায় থাকা সীতার দুর্বিষহ জীবনযাপনের অবসান হতে চলল। কিন্তু সত্যি কি শেষ হল?
বিশদ

03rd  August, 2019
 নান্দীপটের নাট্যপত্র প্রকাশ

  বার্ষিক নান্দীপটের নাট্যপত্র প্রকাশিত হল তৃপ্তি মিত্র সভাগৃহে। তাদের চল্লিশতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত এই পত্রিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে কবি শঙ্খ ঘোষ বলেন, পত্রিকাটি যথাসাধ্য ভালো করার চেষ্টা করেছে এরা। দেখে বেশ ভালো লেগেছে।
বিশদ

03rd  August, 2019
 রাত তখন বারোটা

  লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। এই পুরনো প্রবাদটি যে কতটা সত্যি তা আমরা হরহামেশাই মালুম করতে পারি। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলের নিউজ বুলেটিনে এ ধরনের একাধিক ঘটনার কথা শোনা যায়।
বিশদ

03rd  August, 2019
ইন্দিরা গান্ধী এসেছিলেন অ্যান্টনি কবিয়াল দেখতে 

বাংলা পেশাদারি রঙ্গমঞ্চের পীঠস্থান হাতিবাগান ও সংলগ্ন অঞ্চল। ইংল্যান্ডের থিয়েটার পাড়ার সঙ্গে একসময়ে যার তুলনা করা হতো। আজ সবই অতীত। সেই অতীতের গল্পকথায় ড. শঙ্কর ঘোষ।
বিশদ

27th  July, 2019
 রঙ্গমঞ্চে সাহেব

কলকাতার রঙ্গমঞ্চে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন অভিনেতা গায়ক সাহেব চট্টোপাধ্যায়। একান্ত সাক্ষাৎকারে নাটক নিয়ে নানা অভিজ্ঞতার কথা তিনি আমাদের প্রতিনিধি চৈতালি দত্তকে জানালেন।
বিশদ

27th  July, 2019
ম্যাকবেথ বাদ্যর শততম
অভিনয় ও ফ্র্যাঙ্কেন্স্টাইন

থিয়েটার নিয়েই সদা ব্যস্ত কসবা অর্ঘ্য’র মনীশ মিত্র। থিয়েটারেই তাঁর যাপন। তাঁর ভাবনা জুড়ে শুধুই থিয়েটার। থিয়েটারের শিকড়ে পৌঁছে, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, ভাবনাকে সঙ্গী করে, থিয়েটারের এক নতুন ভাষাকে, নিজের মতো করে তৈরি করেছেন। এই ভাষা, কল্পনার সার্থক প্রয়োগ দেখা গিয়েছে ‘ম্যাকবেথ বাদ্যে’।
বিশদ

27th  July, 2019
 ফের মঞ্চে পরশুরাম

তিনজন পরিচিত মানুষের আড্ডা। নানা বিষয় ঠাঁই পাচ্ছে তাদের আড্ডায়। সাম্প্রতিক বিষয়ের হাত ধরে কখনও তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন মহাকাব্যের সময়ে। আলোচনায় উঠে আসছে রামায়ণকথা, অতীত কথা। কিন্তু রামায়ণ মানে কি শুধুই অতীত? তার সঙ্গে কি আজকের সম্পর্ক নেই? নিশ্চয়ই আছে। রামায়ণতো মানুষের কথা বলে।
বিশদ

27th  July, 2019
 ফের অনিকেত সন্ধ্যা

  ২৭ বছর আগে হইচই ফেলে দেওয়া নাটক ‘অনিকেত সন্ধ্যা’ ফের মঞ্চস্থ হতে চলেছে। গত শতকের ন’য়ের দশকে কলকাতার বিভিন্ন রঙ্গমঞ্চে হাউস ফুল শো হতো এই নাটকের। সেই সময়ে মোট ৪০০ রজনী অভিনীত হয়েছিল নাটকটি। এই নাটকের বিষয়বস্তু বার্ধক্যের যন্ত্রণা।
বিশদ

27th  July, 2019

Pages: 12345

একনজরে
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বোল্লাকালী তাঁকে মূর্তি গড়তে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়েই ২০১১ সাল থেকে বোল্লাকালীর সুউচ্চ প্রতিমা তৈরি করছেন বালুরঘাটের মাঝিগ্রামের মৃৎশিল্পী হিমাংশু মহন্ত। ২০১১ সালের আগে তাঁর বাবা ভবেন মহন্ত বোল্লাকালীর মূর্তি গড়তেন।  ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: ৬৫তম স্কুল গেমসে যোগাসনে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনা পেল কোতুলপুরের সাত্ত্বিক ভট্টাচার্য ও বিপ্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাত্ত্বিক অনূর্ধ্ব ১৭ এবং বিপ্রতীপ অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  ...

 ওয়াশিংটন, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): আগামী সপ্তাহেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশ সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। এই সফরকে তাঁদের অগ্রাধিকারের জায়গা বলেই দাবি করেছে পেন্টাগন। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় সুপারিশ করা মানেই তা কার্যকর করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। শুক্রবার কলকাতায় এক বণিকসভার সভায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতি কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৯ টাকা ৭২.০৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬৮ টাকা ৯২.৯২ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২২/৬ দিবা ২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ ২২/৪৬ দিবা ২/৫৬। সূ উ ৫/৪৯/২, অ ৪/৫১/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২২ মধ্যে, বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি।
২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২১/১২/৩৯ দিবা ২/১৯/৫। উত্তরভাদ্রপদ ২৪/২৩/৮ দিবা ৩/৩৫/১৬, সূ উ ৫/৫০/১, অ ৪/৫২/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ৭/২৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৩ গতে ২/২৯ মধ্যে, বারবেলা ১২/৪৪/১৩ গতে ২/৭/৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/১২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৯/৫৩ গতে ৪/৫২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/৫৩ মধ্যে ও ৪/১২/৫১ গতে ৫/৫০/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। বৃষ: কর্মে পদোন্নতির সম্ভাবনা। মিথুন: অর্থপ্রাপ্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

আজ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাস পরিষেবা

 বুলবুলের জেরে বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর। তাই বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের ফেরাতে ...বিশদ

07:36:49 PM

সাগরে আছড়ে পড়ল বুলবুল 
সাগরদ্বীপে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর ...বিশদ

06:45:00 PM

আদালতের রায় খোলা মনে স্বীকার করেছে দেশ: মোদি 

06:12:01 PM

ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে: মোদি 

06:12:00 PM

আসুন সবাই মিলে নতুন ভারত নির্মাণ করি: মোদি 

06:12:00 PM