বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পূর্ব রেলের এক কর্তার কথায়, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ ও অসমমুখী কিছু ট্রেন চালানো শুরু হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নি-সংযোগের ঘটনার পর থেকেই কৃষ্ণনগর-লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। পর্যায়ক্রমে এই শাখা ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। শনিবার কৃষ্ণপুর পর্যন্ত ট্রেন চালানো হয়েছে।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে আপ শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, আপ দীঘা-নিউ জলপাইগুড়ি পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস, আপ কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, আপ পুরী-কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেসের চলাচল ফের শুরু হয়েছে। আপ-ডাউন পদাতিক এক্সপ্রেস, ডাউন হলদিবাড়ি-কলকাতা এক্সপ্রেস, ডাউন নিউ জলপাইগুড়ি-দীঘা এক্সপ্রেস গত শুক্রবার থেকে চালানো হচ্ছে।
তার আগে আপ ও ডাউন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, আপ তেভাগা এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন কামরূপ এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন দার্জিলিং মেল সহ একাধিক ট্রেন সচল হয়েছে। তারপরও আজ একাধিক ট্রেন বাতিল থাকছে। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, আজ, কাটিহার-হাওড়া এক্সপ্রেস, নিউ আলিপুরদুয়ার-শিয়ালদহ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেস, ডাউন হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, কামাক্ষ্যা-পুরী এক্সপ্রেস, মালদহ টাউন-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, লালগোলা-শিয়ালদহ ভাগীরথী এক্সপ্রেস সহ কয়েকটি ট্রেন বাতিল থাকছে।
দূরপাল্লার বেশ কিছু ট্রেন শনিবারও বাতিল থাকায় বহু যাত্রী ভিড় করেন ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ডে। তাঁদের অনেকেই সপ্তাহ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য বা বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাসের খোঁজ করছিলেন। ভিড় ছিল পাশের বেসরকারি বাসের স্ট্যান্ডেও। ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার পরপরই বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কয়েকটি বেসরকারি বাস সংস্থার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই রাস্তায় নামেন মোটর ভেহিকেলস ইন্সপেক্টররা। সতর্ক করা হয় অভিযুক্ত সংস্থার কর্মীদের। তবে এদিন নির্ধারিত ভাড়াই বেসরকারি বাসে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রীদের একাংশ।