কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন ঠিক সকাল ১০টা নাগাদ খলিলুর রহমান জয়পুর গ্রাম থেকে প্রচার শুরু করেন। হেঁটে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করতে থাকেন। পরে তিনি কান্দরা, পলসণ্ডা, সাউন্দি, কেসিয়াডাঙা, ঘনশ্যামপুর, ঈশানপুর পুড্ডা গ্রামে প্রচার করেন। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে হুডখোলা গাড়িতে গেলেও গ্রামের ভিতরে হেঁটে প্রচার করেন।
ঈশানপুর গ্রামে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাজমিনা বিবি। প্রার্থী পৌঁছতেই তাঁর চোখ ছলছল করে ওঠে। জোড়হাত করে ধন্যবাদ জানালেন প্রার্থীকে। খলিলুর সাহেবকে বললেন, ছেলের দেহ ফেরার পর আপনি যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই উপকার কখনওই ভুলব না। ওই মহিলার ছেলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু হলে খলিলুর সাহেব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
পুনিয়া গ্রামে দুই স্কুলছাত্রী ফুল নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। প্রার্থী তাদের দেখেই গাড়ি থামিয়ে দেন। দুই নাবালিকা নিজেদের বাড়ির গাছ থেকে ফুল এনেছিল। সেই ফুল প্রার্থীর হাতে দিয়ে বলল, ভালো থাকবেন। সাউন্দি গ্রামে একদল বাসিন্দা প্রার্থীর অপেক্ষায় বটতলায় দাঁড়িয়েছিলেন। প্রার্থী আসতেই বললেন, আপনার চেষ্টায় এখান থেকে পারুলিয়া যাওয়ার শর্টকাট রাস্তা তৈরি হয়েছে। এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের প্রচারে এরকম সাড়া পেয়ে অভিভূত খলিলুর সাহেব। তিনি বলেন, শুধু ভোটের জন্য নয়, সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। তাই এত সহজে মানুষ আমাকে ভুলবেন না-এটা ভালোভাবেই জানি।
কিন্তু এরপরই প্রচার ছেড়ে তাঁকে যেতে হয়েছে বহরমপুরে। জেলা শাসকের অফিসে মনোনয়ন ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে একটি বৈঠকে যান তিনি।
খড়গ্রাম বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, গোপীনাথপুরে একটি বাড়িতে প্রার্থীর মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে দুপুরে না খেয়েই যেতে হল। যদিও বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ফের প্রার্থী খড়গ্রামে ফিরে আসেন। খড়গ্রামে এদিন তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর জনসভাও হয়। খলিলুর রহমানের সমর্থনে ওই জনসভা হয়েছে।