কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত সোমবার নজির বিহীনভাবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। ২০১৬ সালের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই রায় দেয় আদালত। এমনকী চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। শাসক শিবির এই নজিরবিহীন রায়ের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে। তাদের মতে, রায়দানের আগে থেকেই অনেক বিজেপি নেতার মুখে এনিয়ে ইঙ্গিত মূলক কথা শোনা গিয়েছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছেন। নদীয়া জেলার ক্ষেত্রে এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নদীয়া জেলার পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নদীয়া জেলায় ৩৭ জন গ্রুপ সি কর্মী, ৬৫ জন গ্রুপ ডি কর্মী সহ শিক্ষক শিক্ষিকা মিলিয়ে প্রায় ৫০০ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। নদীয়া জেলার ৪৬২৪টি বু্থের জন্য ১৮ হাজার বুথ কর্মীর প্রয়োজন। এছাড়া অতিরিক্ত বুথকর্মী রিজার্ভ রাখতে হয় প্রশাসনকে। সব মিলিয়ে ২৫ হাজার বুথ কর্মী প্রয়োজন। কিন্তু, বর্তমানে সেই সংখ্যা কিছুটা কমেছে। প্রশাসন কোনওভাবেই ভোট কর্মীর সংখ্যা কমুক তা চাইছে না। তার জন্য ভোটকর্মীর তালিকা থেকে নাম বাতিল করা নিয়েও কড়াকড়ি করেছে প্রশাসন। কিন্তু, এর মধ্যে জেলার প্রায় পাঁচশো শিক্ষকের চাকরি বাতিল মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নদীয়া জেলার ডিআই দিব্যেন্দু পাল বলেন, আমাদের কাছে এখনও সঠিক তথ্য আসেনি। তবে সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫০০ হতে পারে। আমি ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এর জন্য ভোটের কাজে কোনও সমস্যা হবে না।