কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
যদিও তৃণমূলের প্রচারকে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, সরকারি স্কুলের কী হাল, তা সাধারণ মানুষ জানেন। যে সমস্ত স্কুল আছে, সেগুলি ভালো করে পরিচালনার ব্যবস্থা করা হোক। ওই সমস্ত স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে আসছে।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়গ্রাম জেলায় বেশকিছু আসন দখল করে বিজেপি। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি ছাড়াও ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত গেরুয়া শিবিরের দখলে যায়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক থেকে বিজেপি ভালোই ভোট পেয়েছিল। ফলে ১২ হাজার ভোটে জিতে যান বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়লেও বাজিমাত করতে পারেনি। জেলার চারটি বিধানসভা তৃণমূলের দখলে যায়। এরপর পঞ্চায়েত ভোটেও গেরুয়া শিবির হেরে যায়। বিজেপির গড় গোপীবল্লভপুর -১ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে যায়। সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের আসন ঘাসফুল শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছে। এছাড়া, বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় থাকাকালীন রাস্তা ও পানীয় জলের মতো সাধারণ পরিষেবার উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। যা লোকসভা ভোটের আগে ঘাসফুল শিবিরকে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে। তাই এবার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরির বিষয়টি নিয়ে উৎসাহের সঙ্গে প্রচার করছে তৃণমূল।শাসকদলের গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক সভাপতি হেমন্ত ঘোষ বলেন, এই এলাকায় সিবিএসই বোর্ডের কোনও স্কুল নেই। তাই পঞ্চায়েত সমিতির তরফে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই স্কুল চালু হলে এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।
স্কুলটি ২৫ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাতে উন্নতমানের পরিকাঠামো থাকছে। স্কুলের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। প্রাথমিকভাবে একটি সরকারি আবাসনে ক্লাস শুরু হবে। কমপক্ষে ৩০০ ছাত্রছাত্রী নিয়ে স্কুলটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের ছাতিনাশোল এলাকার বাসিন্দা স্বপন শীট বলেন, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়তে হলে ছেলেমেয়েদের ৪৫ কিমি দূরে ঝাড়গ্রাম যেতে হয়। এই স্কুল তৈরি হলে খুব উপকার হবে। খুব ভালো উদ্যোগ।