অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
দাসপুর-১ ব্লকের নাড়াজোল রাজ কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম পড়ুয়া বলেন, লকডাউনের জন্য এবছর স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টার নেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই দু’টি সেমেস্টারের বিষয়ে শিক্ষাদপ্তরের কাছ থেকে কোনওরকম নির্দেশিকা আসেনি। তাই হবে কি হবে না, তা এখনই আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু এনিয়ে যদি কোনও শিক্ষক টিউশনের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের নোট নেওয়ার জন্য চাপ দেন, তাহলে সেটা একেবারে অনৈতিক বিষয়। আমার কলেজের কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এনিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে আমি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
গত শিক্ষাবর্ষের বিএ, বিএসসি এবং বিকমের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টার এবং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের তৃতীয় সেমেস্টার নিয়মমতোই হয়েছিল। কিন্তু প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় এবং দ্বিতীয় বর্ষের চতুর্থ সেমেস্টার হওয়ার অনেক আগেই থেকে লকডাউন ঘোষিত হয়ে যায়। ফলে কোনও কলেজের পক্ষ থেকেই ওই দু’টি সেমেস্টার নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কলেজগুলি ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তী সেমেস্টারে বা বর্ষে ভর্তির জন্য নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। তাই বর্তমানে ওই দুই বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা যথাক্রমে পরবর্তী (তৃতীয় ও পঞ্চম) সেমেস্টারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়, নাড়াজোল রাজ কলেজ, চন্দ্রকোণা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয় সহ সারা জেলার বহু কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, যেহেতু দুই বর্ষের দু’টি সেমেস্টার অনিশ্চিত থাকার জন্য তাঁরা সেই সময় কলেজের কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে নোটের জন্য টিউশনি পড়তে যাননি। টাকাও দেননি। এখন যেহেতু ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী সেমেস্টারের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন, তাই তাঁদের টিউশন শিক্ষক-শিক্ষিকারা নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছেন। হোয়াটস অ্যাপে এবং ফোনে বলছেন, যে কোনও সময় ওই বকেয়া সেমেস্টার শুরু হয়ে যেতে পারে। ছাত্রছাত্রীরা টাকা দিয়ে যেন নোট নিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ছাত্রছাত্রীরা বলেন, যেহেতু ওই সেমেস্টার হওয়ার কোনও নির্দেশ এখনও নেই, তাহলে আমরা টাকা দিয়ে নোট নিতে যাব কেন? কিন্তু আমরা যাঁদের কাছে টিউশনি পড়ি তাঁরা সবাই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁরা ওই দুই সেমেস্টারের টাকার জন্য এমন ভয় দেখাচ্ছেন, আমরা মানসিকভাবে চাপে পড়ে যাচ্ছি। বর্তমানে পড়াশোনাও ঠিকমতো করতে পারছি না। যে সমস্ত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রাইভেটে টিউশন করে নোট দেন, তাঁরা যদি টাকা না দেওয়ায় অন্য কোনওভাবে সমস্যায় ফেলেন, সেই ভয়টাই ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছেন।