অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
দাসপুর থানা এলাকায় একটি ষাঁড় প্রায় আট-দশ মাস ধরে ২০-২৫টি গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। প্রত্যেক দিন প্রচুর ফসল নষ্ট করে চলেছে। সেই সঙ্গে গোয়ালঘর, বাড়ি, ধান ঝাড়াই মেশিন ভাঙচুর করার ঘটনাও রয়েছে। দাসপুর থানার বেলিয়াঘাটার অলোক জানা, ইসবপুর গ্রামের অপর্ণা অধিকারী বলেন, ষাঁড়ের ভয়ে রাস্তায় বেরনো যাচ্ছে না। যাকে সামনে পাচ্ছে, তাকেই গুঁতিয়ে জখম করে দিচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে শতাধিক মানুষ ওই ষাঁড়ের আক্রমণে জখম হয়েছেন। কয়েক মাস আগে ওই থানার হাজরাবেড় গ্রামের নূর মহম্মদ(৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে গুঁতিয়ে দিলে তিনি গুরুতর জখম হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ভুক্তভোগী গ্রামগুলির বাসিন্দারা বলেন, এর আগে আমরা দাসপুর থানা, দাসপুর-১ ও দাসপুর-২ বিডিওকে ষাঁড়টির অত্যাচারের বিষয়ে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। বিষয়টি মহকুমা শাসককে জানানোর পর তিনি পদক্ষেপ নেন। এদিন সকালে বনদপ্তরের কর্মীরা গিয়ে ষাঁড়টির সন্ধান নিয়ে তাকে কলার মধ্যে অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু বাঁশের লগার ডগায় কলা দেখেই ষাঁড় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পালিয়ে যায়। শেষে দাসপুর-২ ব্লকের গোপালপুর গ্রামের একটি মাঠে কোনও প্রকারে এক ছড়া কলার মধ্যে ২০টিরও বেশি ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু তার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরও ষাঁড়টি ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়া তো দূরের কথা, কাহিল পর্যন্ত হয়নি। বিকেলে বনদপ্তরের কর্মীরা হাল ছেড়ে দিয়ে চলে যান। আজ আবার ঘুম পাড়ানো বন্দুক নিয়ে তাঁদের আসার কথা আছে।