অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
শুধু বাউল বা ফকির নয়, পৌষমেলা শুরু হলে ভাদুগান, টুসু, ছৌনাচ, কীর্তন, রায়বেঁশে, ঘোড়ানাচ প্রভৃতির মতো রাঢ় বাংলার লোক-লোকসংস্কৃতিও এই বাউল মঞ্চের অলঙ্কার। করোনার আবহে এবছর বন্ধ পৌষমেলা। তাই বৃহৎ স্বার্থে তাঁদের স্বার্থ ত্যাগ করেছেন বাউল, ফকিররা। কিন্তু, মন মানছে না।
শান্তিনিকেতনের প্রবীণ বাউল তরুণ খ্যাপা বলেন, অতিমারীর কারণে একবছর সাধারণ মানুষের স্বার্থে মেলা না হলে অসুবিধা নেই ঠিকই। কিন্তু, মন ভীষণ খারাপ। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যশালী উৎসবগুলি পালন করছে বলে শুনেছি। বাউল গান পৌষমেলার ঐতিহ্যবাহী অঙ্গ। তাই ছোট আকারেও অনুষ্ঠান করা গেলে ঐতিহ্য রক্ষা হতো। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মতো লোকশিল্পীদের অর্থনৈতিক দিকটি দেখছেন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার বা বিশ্বভারতী এবিষয়ে উদাসীন। শান্তিনিকেতনের আর এক বাউল লক্ষ্মণ দাস বলেন, করোনার কারণে এবছর পৌষমেলা হচ্ছে না। তাই মন খারাপ লাগছে। উত্তম দাস বাউল, রবি বাউল বলেন, পৌষমেলায় বাউল মঞ্চে গান গেয়ে খুব বেশি রোজগার না হলেও সারাবছরের খোরাকি ও খ্যাতি সবটাই হয়। যাঁরা বাউল গান পছন্দ করেন, তাঁরা এই পৌষমেলায় বাউলশিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফলে, সারাবছর ভিন্ন-ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠান করা যায়। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষ উৎসবের দিনগুলিতে শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানগুলি করা হবে বলে তাদের সিদ্ধান্তের কথা বুধবারই জানিয়ে দিয়েছে। তাই চাতক পাখির মতো একবছর অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই এই বাউল, ফকিরদের। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাই বিশ্বভারতী বাউলদের নিয়ে কিছু ভাবছে কি না তা সময়ই বলবে।