শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, আর কিছুদিন পরেই মাঠ থেকে ধান উঠবে। তার আগে এদিন ব্লক অফিসে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য চাষিদের নাম রেজিস্ট্রেশনের দিন ঘোষণা করা হয়।
সেইমতো ভোর থেকে দূর-দূরান্তের চাষিরা প্রয়োজনীয় জমির কাগজ, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই নিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, অফিস খোলার পর ব্লক অফিস থেকে জানানো হয়, করোনা পরীক্ষা ছাড়া নাম রেজিস্ট্রেশন করা হবে না। এরপরই চাষিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সাদেআলম মণ্ডল, আব্দুল হাকিম, মহম্মদ সাহিদুলরা বলেন, ভোর থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বেলা বাড়তেই চড়া রোদও উঠেছে। করোনা পরীক্ষা ছাড়া নাম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না বলে কোথাও আগাম বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?
এরপরই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এনিয়ে অফিস চত্বরেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। তাঁরা বিডিওর সঙ্গে দেখা করেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে অনেকে করোনা পরীক্ষার ভয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন না করিয়েই বাড়ি ফিরে যান।
বেশকিছু চাষি জানিয়েছেন, গতবছর তাঁরা ঘুরে ঘুরে হয়রান হয়েছেন, আর ফড়েরা চাষি সেজে দিব্যি ধান বিক্রি করেছে। আর এবার প্রশাসন যা ফরমান জারি করেছে তাতে এবছরও ধান বিক্রি করতে পারব কি না জানি না।
বিডিও হুমায়ন চৌধুরী বলেন, এদিন প্রচুর চাষি নাম রেজিস্ট্রশন করানোর জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন। তাঁদের বলা হয়েছিল অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। আপনারা সেই পরীক্ষা করিয়ে নিন। তাতে কিছু চাষি বলেন, পরীক্ষা করাব না। এনিয়ে হইচই হয়েছিল। পরে অবশ্য সব মিটে যায়। প্রায় ১৫০জন চাষি এদিন পরীক্ষা করিয়েছেন। অনেকে আবার পরীক্ষা করাননি।
দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, চাষিদের মধ্যেও কেউ করোনার বাহক হয়ে থাকতে পারেন। সেটা চিহ্নিত করতেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাছাড়া সকলে সহযোগিতা করলে টেস্টের সংখ্যাও বাড়ত।