শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
মেদিনীপুর রাঙামাটি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবার মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে। মণ্ডপের তিনদিকই খোলা থাকছে। গত বছর এই পুজো কমিটির বাজেট ছিল ২৪ লক্ষ টাকা। এবছর তা কমিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে পাড়ার বিভিন্ন মোড়ে ফ্লেক্স টাঙিয়ে চাঁদা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ফ্লেক্সে কয়েকজন ক্লাব সদস্যের ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে, কেউ স্বেচ্ছায় চাঁদা দিতে চাইলে ওই নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে। পুজো কমিটির সভাপতি দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, এবছর আমরা মিটিং করে চাঁদা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া গতবছরের আমাদের কিছু টাকা গচ্ছিত রয়েছে। আর পুজো কমিটির কয়েকজন চাঁদা দিয়ে এবার পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ছোটবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির এবছরের থিম ‘এক চিলতে আলো’। পটচিত্রের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। এই পুজো কমিটিও বাজেটে এবার কাটছাঁট করেছে। গতবার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাজেট ছিল। এবার তা কমিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এই পুজো কমিটির সদস্যরাও এবছর বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলছেন না। পুজো কমিটির সম্পাদক পৃথ্বীশ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা সাহায্য করছেন, তা যথেষ্ট। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা চাওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই, বাড়িবাড়ি এবছর আমরা কোনও চাঁদা তুলছি না। গতবারের কিছু টাকা জমা ছিল। কয়েকটি বিজ্ঞাপন পাব। আমরা ক্লাবের সদস্যরা কিছু চাঁদা দিয়ে এবার পুজো করব। তবে, অনেকে স্বেচ্ছায় ক্লাবে এসে চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।
আবাস খাসজঙ্গল সর্বজনীন পুজো কমিটিও এবছর বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলছেন না। সাধারণত প্রতি বছরই গড়ে সাড়ে তিন-চার লক্ষ টাকা পুজো বাজেট থাকে। এবার বাজেট কমিয়ে দেড় লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক বিষ্ণুপদ ভুঁইয়া বলেন, লিফলেট বিলি করে সাধারণ মানুষকে চাঁদা না দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে, এলাকায় কিছু চাকরিজীবী মানুষ রয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন। কাউকে জোর করা হচ্ছে না। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্য আমরা পাব, তা দিয়ে এবার পুজো হয়ে যাবে।