সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিন কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস সহ স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড চত্বরে যান। ঠিক হয়, বাসস্ট্যান্ডেই নতুন ভবনে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে নামা শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর তাঁদের টিফিন করিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ওখানেই স্বাস্থ্যদপ্তর শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। তাছাড়া দমকল আধিকারিককেও স্যানিটাইজ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থেকে শ্রমিকদের নামিয়ে আমরা তাদের বাসস্ট্যান্ডেই সাময়িকভাবে রাখার ব্যবস্থা করব। কাটোয়া হয়ে আজিমগঞ্জ দিয়ে ওই ট্রেনগুলি উত্তরবঙ্গ যাবে। আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা করব। শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল থেকে শুরু করে আলোর ব্যবস্থাও থাকবে। এদিকে কাটোয়ায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসার খবর আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহকুমায়। বাসিন্দাদের একাংশ শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৮ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগই মুম্বই, মহারাষ্ট্র ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক। তবে নতুন করে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঢুকলে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা কীভাবে করা হবে অথবা সোয়াবের নমুনা কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। এদিকে ট্রেন থেকে নেমে মহকুমাজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা কীভাবে তাঁদের বাড়ি ফিরবেন, এমনকী গ্রামে পৌঁছে কোনও সমস্যা হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সমস্ত কিছুই আজকের প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে শ্রমিকদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।