নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, রামপুরহাট: গত ২৪ঘণ্টায় বীরভূমে আরও ১৮জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। তার মধ্যে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় ছ’জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। বুধবার রাতে তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্তরা সকলেই রেড জোন মহারাষ্ট্র ফেরত বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন। ফলে, এই স্বাস্থ্যজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২৭। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(২) ডাঃ স্বপনকুমার ওঝা বলেন, আক্রান্তদের রামপুরহাট করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে নলহাটি-১ ব্লকের একজন, মুরারই-২ ব্লকের দু’জন ও নলহাটি-২ ব্লকের তিনজন বাসিন্দা রয়েছেন। ২৬ ও ২৭ মে তাঁরা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ধরে মহারাষ্ট্র থেকে এলাকায় ফেরেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের তারাপীঠ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে লালারস সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে, এর মধ্যে নলহাটি-২ ব্লকের তিনজন হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম পালন করলেও বাকিরা তা উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ। এদিন আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা প্রায় ৪০-এর বেশি ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে বলে এদিন আক্রান্তদের এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার অধীনে ইলামবাজারে তিনজন, পাঁড়ুইয়ে দু’জন ও রাজনগরে একজন করে রয়েছেন। ইলামবাজারে তিনজন মহারাষ্ট্র থেকে গত ২৫ মে বাড়ি ফেরেন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ছ’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত সেই ছ’জনের বাড়ি দুবরাজপুর ব্লক এলাকায়। সাহাপুরে একই পরিবারের তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন। বাকি তিনজন দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছিলেন। গত ২৭ মে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিন রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বিডিও অনিরুদ্ধ রায় জানিয়েছেন।