যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাত বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সালালপুর গ্রামের ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী শক্তল গ্রামের অভিযুক্ত যুবকের। সে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তার দুই সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অকারণে ওই যুবতীর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু করে। পারিবারিক এই গণ্ডগোল মেটানোর জন্য বহুবার গ্রামে সালিশি সভা বসে। কিন্তু বধূর উপর অত্যাচারের মাত্রা কমেনি। বরং তা দিনে দিনে বেড়েছে। অভিযোগ, গত রবিবার ওই যুবক স্ত্রীকে নিয়ে মাঠে কীটনাশক দিতে যায়। সেখানে কাজ করার সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। মাঠেই স্ত্রীকে মারধর করে অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই ঝগড়া শেষ হয়নি। বাড়ি ফেরার পর স্ত্রীকে ঘরে আটকে বেধড়ক মারধর করে ওই যুবক ও তার বাবা-মা। এমনকী স্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য মুখে বিষ পর্যন্ত ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ওই যুবতী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। দু’দিন পর গৃহবধূর বাবা জানতে পেরে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা ওই যুবতীকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করেন। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। পরে ওই যুবতীকে মালদহের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন তাঁর বাবা। বর্তমানে সেখানে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী। নির্যাতিতা বধূর বাবা বলেন, সাত বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের সময় আসবাবপত্র এবং টাকাও দিয়েছিলাম। বিয়ের বছর খানেক কাটতে না কাটতেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অকারণে আমার মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু করে। সংসারের কথা ভেবে সবটা মুখ বুজে সহ্য করেছে আমার মেয়ে। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে, তা কখনও ভাবতে পারিনি। নার্সিংহোমের সামনে কেঁদে ফেলেন ওই বধূর বাবা। তাঁর সংযোজন, জামাই পরিযায়ী শ্রমিক। সবসময় নেশা করে। জামাইকে নেশা করতে বারণ করত মেয়ে। এজন্য তাকে মার খেতে হতো। গত রবিবারও জামাই ও তার বাবা-মা মিলে আমার মেয়েকে বেঁধে মারধর করে। এমনকী মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে তারা। জামাই ও তার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর বাবা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন,মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।