যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
অঙ্কিতার কথায়, ছোট থেকেই আইএএস হতে চাই। প্রথমে ভাবতাম আইএএস হলে একটা সুন্দর বাংলো ও একটা বড় গাড়ি পাওয়া যায়। তাই আইএএস হওয়ার ইচ্ছে জাগে ধীরে ধীরে। পরে সেই ভাবনার পরিবর্তন হয়। কিন্তু আমার লক্ষ্য বদলায়নি। এখন আমি আইএএস হতে চাই সমাজ এবং দেশের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের ধুমসা দিঘির বাসিন্দা শংকর কুমার সরকার পেশায় সার ব্যবসায়ী। তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে অঙ্কিতা মেজ। বংশীহারি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম স্থানাধিকারী অঙ্কিতা চলে আসেন রায়গঞ্জ শহরে। এখানে রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলে কলা বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন।
অঙ্কিতা জানান, নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য শহরে এসে সবকিছু গুছিয়ে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে প্রথমদিকে একটু সমস্যা হয়েছে। তারপর ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। বাবা ও মা মাঝে মধ্যে দেখা করতে আসতেন।
পড়াশোনার জন্য রায়গঞ্জ শহরের উকিল পাড়ায় এক বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন অঙ্কিতা। তিনি বাংলায় ১০০, ইংরেজি ও ভূগোলে ৯৭, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ও অর্থনীতিতে ৯৮ নম্বর পেয়েছেন।
রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা বলেন, অঙ্কিতার এই রেজাল্টে আমরা সবাই গর্বিত।
স্কুলের শিক্ষক মৃত্যঞ্জয় মিত্র বলেন,ওর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় আমি টিচার ইনচার্জ ছিলাম। কাজেই অঙ্কিতার এই সাফল্যে খুব ভালো লাগছে।
স্নাতকে কোন কলেজে ভর্তি হবেন, সেটা এখনও চূড়ান্ত করেননি অঙ্কিতা। যেহেতু তিনি আইএএস হতে চান, তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়েই পড়ার ইচ্ছে। রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি দেশ ও বিশ্বের রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত চর্চা করেন অঙ্কিতা। রাজনৈতিক বিষয়ে নিজেকে আপডেট রাখার জন্য প্রতিদিন খবর দেখা এবং সংবাদপত্র পড়েন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য নিয়মিত দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন এই কৃতী। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে ভালোবাসেন। গান শোনা পছন্দের তালিকায় রয়েছে বলে জানান অঙ্কিতা। বাবা-মায়ের সঙ্গে অঙ্কিতা সরকার। - নিজস্ব চিত্র।