কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
হাতিছাপা গ্রামে ফুলহর নদীর বাঁধের পাশে পূর্ত দপ্তরের জমিতে গড়ে উঠেছে উদ্বাস্তু কলোনি। নদী ভাঙনে সব হারিয়ে এখানে অস্থায়ী বাড়ি তৈরি করে বসবাস করেন বহু মানুষ। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। একে শুখা মরশুম। তার উপর দমকা হাওয়ায় নিমেষের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বাড়িতে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ঘরগুলি। আগুন এতটাই ভয়াবহ আকার নেয় যে, কেউ ঘর থেকে কিছু বের করতে পারেননি।
স্থানীয়রা নদীর জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা থেকে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে বাড়িগুলি।
ক্ষতিগ্রস্তদের বক্তব্য, আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ২০ লক্ষেরও বেশি।
ক্ষতিগ্রস্ত সামসুল হক, আনারুল হক, জাকির হোসেন ও হোসেন আলিরা বলেন, আমরা সবাই পরিযায়ী শ্রমিক। বাইরে কাজ করে সংসার চালাই। চোখের সামনে সব ছাই হয়ে গেল। সব হারিয়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ২’এর বিডিও তাপস পাল, চাঁচলের মহকুমা শাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায় ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। বিডিও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আপাতত লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন মিটলেই পরিবারগুলির জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর দমকল স্টেশন অফিসার ধরণীকান্ত পাল বলেন, অধিকাংশ ঘর ছিল পাটকাঠির বেড়ার। চাল ছিল টিনের। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই সব পুড়ে যায়।