কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলায়। কারণ ওই তিন জেলার তিন আসনে ভোট ২৬ এপ্রিল। হাতে দিন তিনেক সময়। ফলে শেষ মুহূর্তে ওই শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ এলে অথবা তাঁরা ভোটকর্মী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করলে সমস্যা বাড়বে বলেই মনে করছেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা।
একই সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গৌড়বঙ্গের অপর জেলা মালদহের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন পরিচালনা নিয়েও।
ইতিমধ্যেই ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে দুই দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলায়। এমনকী ভোটকর্মীদের নির্দিষ্ট দলও তৈরি করে ফেলেছে প্রশাসন। প্রতিটি দলে একজন প্রিসাইডিং অফিসার ও তিনজন পোলিং অফিসার রয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ওই শিক্ষক, শিক্ষিকাদের ভোটকর্মীর দায়িত্ব দেওয়া যাবে কি না, সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ এখনও পাইনি। নির্দেশ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
একই সুর শোনা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের নির্বাচন দপ্তরের এক পদস্থ আধিকারিকের গলাতেও।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভোটকর্মী প্রশিক্ষণ) জামিল ফাতেমা জেবা বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুসারে চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষক, শিক্ষিকাদের মধ্যে কতজনকে ভোটকর্মী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন যেমন নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। রাত পর্যন্ত নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, দার্জিলিং কেন্দ্রে মোট ভোটকর্মী ৮ হাজার ৮২৬ জনের বেশি। চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের নিয়ে কোনও নির্দেশিকা আমরা কমিশনের কাছ থেকে পাইনি।
চাকরি বাতিলের তালিকায় থাকা এক ভোটকর্মী শিক্ষিকা বলেন, বিষয়টি অভূতপূর্ব সঙ্কট তৈরি করেছে। ভোটকর্মী হিসাবে দায়িত্ব পালনের মতো মানসিকতা এই মুহূর্তে নেই। মানসিক বিষাদ নিয়ে কি ভোট গ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন সম্ভব! প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এমনই পরিস্থিতিতে এখন জেলা নির্বাচন দপ্তরগুলির অপেক্ষা কমিশনের পরবর্তী নির্দেশিকার জন্য।