সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
বৈঠক শেষ করে জেলাশাসক বলেন, এদিনের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছিল করোনার আগামী প্রবাহের প্রকোপ বাড়লে কীভাবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর তার মোকাবিলা করবে এবং তারজন্য জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আরও উন্নতির জন্য যেমন ভিআরডিএল, অক্সিজেন প্লান্ট, পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) তৈরির কাজ কতদূর এগল তাও এদিন আলোচনায় ছিল। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভিআরডিএল তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। একসপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে। ল্যাবের অনুমোদনের জন্য আইসিএমআরের নির্দেশিকা মানা হচ্ছে। জেলাশাসক এদিন করোনা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এ নিয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
এদিনের বৈঠকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় সহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, কয়েক মাসের মধ্যেই জেলায় ২০ বেডের পিকু বিভাগ প্রস্তুত করার কাজ সম্পূর্ণ হবে।
ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, আমরা জেলা সদর হাসপাতালে পিকু বিভাগ চালু করার ব্যবস্থা করছি। এ জন্য ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা হাসপাতালেও শিশুদের চিকিৎসার জন্য পিকু বিভাগ তৈরি হবে।
ওএসডি বলেন, তথ্য বলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরবঙ্গে সাত বছরের নিচে ২.৫ শতাংশ শিশুর দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই শিশুদের জন্য বেড সহ আধুনিক কিছু চিকিৎসার সাজসরঞ্জাম প্রস্তুত করার কাজ চলছে। এছাড়াও ভেন্টিলেটর, ওয়ারমার, অক্সিজেনের ব্যবস্থাও ধাপে ধাপে করা হচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের বাছাই করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।