সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
অথচ ভুটান পাহাড়ে হওয়া বৃষ্টির রিপোর্ট সময়ে না আসলে এখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সময়ে ওই রিপোর্ট পেলে সেচদপ্তর জেলায় সেইমতো সতর্কতা জারি করতে পারে। সামাল দিতে পারে বন্যা পরিস্থিতি। কিন্তু ভুটানে বৃষ্টির রিপোর্ট জানতে না পারায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এ রাজ্যের সেচদপ্তরকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসিমারায় তাঁদের দপ্তরের কর্মীদের দেওয়া মৌখির তথ্যের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেচকর্তারা। সেচদপ্তর অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে।
সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম গোস্বামী বলেন, সিডব্লুসি থেকে ভুটানের বৃষ্টির রিপোর্ট আসছে না। ফলে বর্ষার সময় ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির রিপোর্টের জন্য হাসিমারায় দপ্তরের রেইন গেজের কর্মী ও বাঁধ খালাসিদের উপর নির্ভর করতে হয়। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হতে দেখলেই হাসিমারা রেইন গেজের কর্মীরা অফিসে খবর দেন। তখন জেলায় সেইমতো সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেচদপ্তর জানিয়েছে, ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা ৭২টি ছোটবড় নদী ও ঝোরা জেলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হলে সেই জল সমতলে নামতে তিনঘণ্টা সময় লাগে।
সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সিকিম পাহাড়ে বৃষ্টি হলে সময়মতো জেলায় তার রিপোর্ট পাওয়া যায়। কিন্তু, ভুটানের বৃষ্টির রিপোর্ট পাওয়া যায় না। সেচদপ্তরের দাবি, সিডব্লুসি ছাড়া ভুটানে বৃষ্টির রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব নয়। সিডব্লুসি রাজ্যকে জানালে তবেই জেলার পক্ষে তা জানা সম্ভব। কিন্তু, সিডব্লুসি অনেকদিন ধরেই প্রতিবেশী দেশের বৃষ্টির রিপোর্ট রাজ্যকে দিচ্ছে না। ফলে জেলা সেচদপ্তরও আগাম তা জানতে পারছে না। এই অবস্থায় ফি বছর বর্ষার সময় ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হতে দেখলে সেচদপ্তরের হাসিমারা রেইন গেজের কর্মী ও নদীবাঁধ খালাসিরা জেলায় রিপোর্ট পাঠান। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই তা চলছে।
সেচদপ্তরের এক কর্তা বলেন, ভুটান পাহাড়ে প্রতি ঘণ্টায় কত মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে, তার রিপোর্ট আগাম জানা থাকলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া যায়। সতর্কতা জারি করা যায় ব্লকগুলিতে। সেচদপ্তর বৃষ্টির ব্যাপারে জেলাবাসীকে জানাতে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। ওই কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ৯৬৭৯৯৩৮৬২০। ২৪ ঘণ্টা এখান থেকে পরিষেবা মিলছে।