উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
লরি চালকরা বলেন, পণ্য নিয়ে রাতে সাহাপুর নারায়ণপুর এলাকায় যাতায়াতের সময় ভয় হয়। দুষ্কৃতী বাহিনী সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গাড়ি করে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ায়। সম্প্রতি একাধিক লরি চালক তাদের খপ্পরে পড়েছেন। পুলিস প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখলে পণ্যবাহী গাড়ির চালকরা নিরাপত্তা পাবেন বলে জানিয়েছেন চালকরা। অন্ধ্রপ্রদেশের এক লরি চালক সন্তোষ আইয়ার বলেন, নারায়ণপুর এলাকায় অনেক সময় লরি আটকে টাকা ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। আমি নিজে এখনও এধরনের বিপদে পড়িনি। কিন্তু এরকম ঘটনার কথা আমার বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি। ওই এলাকার বদনাম ছড়িয়ে গিয়েছে। আমরা, লরি চালকরা তাই মালদহে ঢুকতে ঢুকতে রাত হয়ে গেলে লরি কোনও হোটেলের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে দিই। আবার সকালে রওনা দিই। রাতে চালাই না। জাতীয় সড়কে কোনও গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। পুলিস তাদের চিহ্নিত করলে চালকরা রেহাই পাবেন।
অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। যদিও মালদহ থানার পুলিস কর্তারা অভিযোগ মানতে চাননি। তাদের বক্তব্য, জাতীয় সড়কে রাতদিন পুলিসের কড়া নজরদারি রয়েছে। এবিষয়ে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, জাতীয় সড়কে পুলিসের টহলদারি থাকেই। কোনও বেআইনি কার্যকলাপ হলে পুলিস বসে থাকবে না।
সম্প্রতি ফালাকাটার একটি পাট বোঝাই লরি কলকাতা যাওয়ার সময় পুরাতন মালদহ ব্লকের নারায়ণপুরে দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়ে। একদল ছিনতাইকারী গাড়িতে করে এসে চড়াও হয়। লরির কাচ ভেঙে, চালক ও খালাসিকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায়। তাঁদের টাকা ও জরুরি কাগজ ছিনতাই করে নেয়। সেই ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই সাহাপুরে একটির বালির গাড়ি তোলাবাজদের খপ্পরে পড়ে। সেসময় সংঘর্ষে কয়েকজন জখম হন। মাসখানেকের মধ্যেই সাহাপুর বাইপাস এলাকায় রাতে এক প্রেমিক যুগলের গলায় চাকু ঠেকিয়ে তাঁদের থেকে মোবাইল সহ টাকাপয়সা ছিনতাই করে নেয় দুষ্কৃতীরা। তবে সেই ঘটনায় অবশ্য দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় পুলিস। কিন্তু লরিচালকদের ঘটনাগুলির কোনও কিনারা হয়নি।
পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তোলাবাজি ও গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছিনতাইয়ের একটি গ্যাং এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। রাত হলেই তারা রাস্তায় নেমে পড়ে। দূর থেকেই তারা টার্গেট বেছে নেয়। রাস্তার মাঝখানে চালকদের গাড়ি দাঁড় করাতে বাধ্য করে। তারপর গাড়ির চাবি বা নথিপত্র কেড়ে নেয়। পরে মোটা টাকার বিনিময়ে সেসব ফেরত দেয়। অনেক চালক আতঙ্কে পুলিসের দ্বারস্থ হন না। আবার চালকদের একাংশের অভিযোগ, অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিস অধিকাংশ সময়েই গড়িমসি করে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিস।