উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট সদর মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের বিপণন দপ্তরের আধিকারিকরা বাজারে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্রের দাম খতিয়ে দেখেছেন। সব জিনিসের দাম কিন্তু বাড়েনি। কেউ কোনও সামগ্রী গুদামজাত করে দাম বাড়াচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়াও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযান চালানো হবে।
বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, বাজারে আলু, সর্ষের তেল, ডিম সহ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েছে। তবে এই মরশুমে দাম একটু বেড়েই থাকে। সেইসঙ্গে এবছর লকডাউন, বৃষ্টি ও আরও নানা কারণে একটু দাম বেড়েছে। কেউ যাতে সামগ্রী মজুদ করে রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে দাম না বাড়ায়, তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজারে সর্ষের তেলের দাম বাড়ার ব্যাপারে হরেরামবাবু বলেন, অনেক চাষি বাড়িতে সর্ষে রেখে দিচ্ছেন। উৎপাদকরা তেলমিলে সর্ষে খুব কম নিয়ে আসছেন। সেই কারণে হয়ত দামটা বাড়ছে।
সর্ষের তেলের মিলের এক মালিক বলেন, বাজারে সর্ষের দাম বেড়ে গিয়েছে। সর্ষের যোগানও শেষের দিকে। যার ফলে চার-পাঁচদিন আগে থেকে বালুরঘাটে তেলের দাম বেড়েছে।
বালুরঘাটের বাজারে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মধু দাস বলেন, করোনা ও লকডাউনের জন্য রোজগার বলতে গেলে কিছুই হয়নি। তার উপর আবার বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সব্জি থেকে শুরু করে আলু, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, ডিম, তেল সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া।
প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েছে। গত চার-পাঁচদিনে পাইকারি বাজারে সর্ষের তেলের ১৫ কেজির টিনের দাম ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। খুচরো বাজারে খোলা তেলের দাম ছিল ১২২-১২৫ টাকা কেজি। কিন্তু এখন দাম নিচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। এক পাতা ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা। দুয়েকদিন ধরে সেই ডিম বিক্রি শুরু হয়েছে ১২৬ টাকা পাতা দরে। এছাড়া শহরের বাজারগুলিতে আলুর দাম হয়েছে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকা। পেঁয়াজ ২৮-৩৫ টাকা, পটল ২০-৩৫ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ভেন্ডি ৪০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সমস্ত পেশার মানুষেরই সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা। সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগেই এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় অনেকেরই মাথায় হাত পড়েছে। এদিকে দাম বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনও সদর্থক ভূমিকায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ। গঙ্গারামপুর মহকুমায় টাস্ক ফোর্সের তরফে দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হলেও সদর শহর বালুরঘাটে এধরনের কোনও অভিযান এখনও অবধি না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।