কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, ৫ আগস্ট বালুরঘাটের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনিহার এলাকার এক যুবক খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে সোয়াব দিতে আসেন। ওই যুবকের দাবি, খাসপুর হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি নাম ও ফোন নম্বর রেজিস্ট্রেশন করেন। এরপর আরও দেরি হওয়ায় টেস্ট না করেই তিনি ফিরে আসেন। এদিকে ৮ তারিখে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই যুবক বলেন, আমি সোয়াব না দিয়েই কাজে চলে গিয়েছিলাম। তবুও আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে আমি পজিটিভ। ফলে সোমবার হাসপাতালে গিয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট করি। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কীভাবে নমুনা না নিয়েই রিপোর্ট পজিটিভ এল তা দেখা উচিত। একই অভিযোগ তুলেছেন বালুরঘাটের নাজিরপুরের দাসুলের এক ব্যক্তি। ৮ আগস্ট স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পজিটিভ রিপোর্ট এলে তিনি করোনা পরীক্ষার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি সোয়াব দিতে হাসপাতালে যাইনি। এদিকে আমাকে ফোনে জানানো হয় আমি পজিটিভ। ফলে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলাম না। ফের হাসপাতালে টেস্ট করাই। ৩০ মিনিটের মধ্যেই আমার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফলে এখন স্বস্তি পাচ্ছি।
খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্পণ সরকার বলেন, এটা কোনওমতেই সম্ভব নয়। কারণ নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে লালা রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রথমবার টেস্ট করার পাঁচ দিন পরে কারও রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই পারে। স্বাভাবিকভাবেই এদিন ওই দু’জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবুও তাঁদের ক্ষেত্রে আসলে কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। তবে অনেকেই লালারসের দেওয়ার পর যদি পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাহলে নিজেকে লুকিয়ে ফেলছেন অথবা মিথ্যা বলছেন।
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, একজন ব্যক্তির সোয়াব নেওয়ার আগে নিজের নাম ও ফোন নম্বর রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এছাড়াও সেই ফোনে ওটিপি নম্বর নিয়ে যাচাই করেই সোয়াব সংগ্রহের কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নাম ভুল করে বা ফাঁকি দিতে পারবেন না। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যাচ্ছে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে গ্রামীণ ও শহর এলাকার মানুষ নিজেকে আড়াল করে ফেলছেন। অথবা স্বাভাবিক জীবন যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য মিথ্যা বলছেন। তবুও এদিনের ঘটনার পরে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গঙ্গারামপুরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। ব্লক অফিসের এক কর্মীর পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর তিনিও একইভাবে অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য নতুন করে সোয়াব পরীক্ষার তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।