শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
ইটাহারের দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার লকডাউনের মধ্যেই ওই চার ব্যক্তি একসঙ্গে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বসে আড্ডা মারছিলেন। ওই এলাকার কাছাকাছিই তাঁদের বাড়ি। সেই সময় রায়গঞ্জ থেকে মালদহের অভিমুখে যাওয়া একটি লরি তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনেরই। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে যায় ইটাহার থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এই ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেশ খানিকক্ষণ ধরে চলে সেই অবরোধ ও বিক্ষোভ। পরে অবশ্য পুলিসি আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। পুলিসের তৎপরতায় এরপর মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। ঘাতক লরিটির চালকের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
গ্রামবাসীরা বলেন, চালক বেপরোয়াভাবে লরিটি চালাচ্ছিল। সে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। লকডাউনের জেরে এখন তো রাস্তায় লোকজন বা গাড়ি কিছুই নেই। তা সত্ত্বেও এই দুর্ঘটনা ঘটল। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, ফোর লেনের ওই রাস্তায় নিয়ম ভেঙে উল্টো দিকে লরিটি এসে পড়াতেই এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন স্থানীয় বেকিডাঙা এলাকার মহারাজপুরের ওই চার বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই অত্যন্ত দুঃস্থ পরিবারের সদস্য। পেশায় দিনমজুর। এলাকার বাসিন্দা জ্যোতি বর্মন, তপন দাসরা বলেন, দুর্ঘটনার পর লরিটিকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে চালক। পুলিস ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে। চালকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
এদিকে পৃথক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের বিডিও ছোগেল মুক্তান তামাং ও তাঁর গাড়ির চালক সুব্রত মণ্ডল। রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তপনের করদহে। দুর্ঘটনার সময় বিডিও তাঁর গাড়ির চালককে পাশে বসিয়ে নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও দপ্তরের আধিকারিকরা বিডিওকে উদ্ধার করে তপন ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দু’জনকেই বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিডিওকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিকেলের দিকে বিডিওর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মালদহ জেলা সীমান্তের আমতলিঘাটে এদিন নাকা চেকিং পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিডিও। সেখান থেকে দুপুরে ফিরছিলেন। সেসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি গাছে ধাক্কা মেরে জমিতে উল্টে যায়। এতে গাড়িটি দুমড়ে গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিডিও’র পাঁজরের বেশিরভাগই হাড়ই ভেঙে গিয়েছে। ফুসফুসও ফুটো হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে গাড়ি চালকের শরীরে একাধিক জায়গায় জখম হয়েছে। তবে তিনি বালুরঘাট হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।