শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নালা নর্দমা আগে থেকেই সাফাই করার কাজ চলছিল। এখন সেই কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে হচ্ছে। বিভিন্ন পাড়া, বাজার চত্বর পরপর দু’বার স্যানিটাইজ করা হয়েছে। এখন ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো, নালাগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েই পুরসভা এলাকায় অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে ডেঙ্গুর মোকাবিলায় জোরকদমে কাজ চলছে।
বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম সমর্থিত নির্দলের সুপ্রতিম সরকার বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করা জরুরি। পুরসভা এখনও যদি ঠিকমতো ডেঙ্গু মোকাবিলায় না ঝাঁপায় তবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
মাল পুরসভার প্রশাসক স্বপন সাহা বলেন, করোনার আবহের মধ্যে যাতে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক না ছড়ায় তার জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। সেই জন্য ইতিমধ্যেই ময়দানে নামা হয়েছে। নিয়মিত নিকাশি নালা নর্দমা পরিষ্কার করা হচ্ছে। মশা মারার তেল নিকাশি নালায়, জঙ্গলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, এখনই যদি ডেঙ্গুর মোকবিলায় না নামি তবে আগামী দিনে তা নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।
পুরবাসী বলেন, সকলের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। ডেঙ্গুর বাহক মশা এডিস যেহেতু নোংরা নয় পরিষ্কার জমা জলেই জন্মায় তাই সুপারির খোল, গ্যারেজের টায়ার, বাড়িতে থাকা ফুলের টব, ডাবের খোলে জমে থাক জল ফেলে দিতে হবে। এছাড়াও জলের রিজার্ভারের মুখ যাতে খোলা না রাখা হয় সেটা সকলে বলতে হবে। যতবেশি মানুষকে সচেতন করা যাবে তত দ্রুত এই রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
প্রসঙ্গত, মাল পুরসভায় ১৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। বেশকিছু দিন ধরে ওয়ার্ডগুলিতে মশার উপদ্রব বাড়েছে। ক’দিন পরপর বৃষ্টিতে আরও মশার দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর বর্ষার সময় মাল পুরসভায় ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা দিয়েছিল। সেবার বেশ কয়েকজন আক্রান্তও হয়েছিলেন। এদিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বর্ষা ঢুকে যাবে। তাই এখন থেকেই ডেঙ্গু রুখতে পুরসভা যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করছে।