শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
শিলিগুড়ির একটি পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বিমলকুমার সিংহ বলেন, লকডাউনের শুরুতে একধাক্কায় ব্রয়লারের দাম অনেকটাই কমে গিয়েছিল। গাড়ি না চলাচল করায় সেই সময়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এমনও গিয়েছে, ১০০ টাকায় পাঁচটি মুরগি বিক্রি করেছি। লোকসানের আশঙ্কায় তখন জলের দরে ফার্মের মুরগি বিক্রি করতে হয়েছে। দিন কয়েক হল ব্রয়লারের দাম একটু চড়া হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে বিক্রিও খানিকটা কমেছে।
এনজেপি বাজারে আসা অনিমেষ দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও মুরগির মাংসের দাম যথেষ্ট কম ছিল। কিন্তু এ ক’দিনে দাম প্রায় দ্বিগুণ ছুঁয়েছে। কাটা ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহেও কেজি প্রতি ২৬০ টাকা ছিল। এ সপ্তাহে একই দোকানে তা ২০ টাকা বেড়েছে। এক কেজির পরিবর্তে ৫০০ গ্রাম মাংস কিনে বাড়ি যাচ্ছি। কালোবাজারি হচ্ছে কি না বুঝতে পারছি না। দোকানদারদের দাবি, দাম বাড়ার জন্য তাঁদের বিক্রি কমেছে। কিন্তু তাঁরাও বেশি দামে কিনছেন তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
লকডাউনের শুরুতেই মুরগি মাংস নিয়ে গুজব ছড়ায়। তার জেরে হু হু করে নামতে থাকে ব্রয়লারের দাম। লোকসানের আশঙ্কায় প্রায় জলের দরে মুরগি বিক্রি করেন পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা। গুজব রুখতে বিভিন্ন জায়গায় আসরে নামতে হয় প্রশাসনকে। এরপর ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে বাজার। লকডাউনের কারণে এমনিতেই বন্ধ সামাজিক অনুষ্ঠান। সেইসঙ্গে বন্ধ হোটেলগুলি। ফলে বিক্রিবাটা প্রায় নেই বললেই চলে। লকডাউনের কারণে রোজগার বন্ধ হওয়ায় অনেকেই বাজারে কেনাকাটাও কমিয়েছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে মাংস বিক্রি করছেন অনেক ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে বাজারে পর্যাপ্ত ক্রেতার অভাবে দাম কমছে রুই, কাতলার। শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট ফিস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাপি চৌধুরী বলেন, মাংসের দাম বাড়লেও মাছের দাম বাড়াতো দূরস্ত, উল্টে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমেছে। বড় মাছের বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছে। সাধ মেটাতে আমিষ প্রিয় বাঙালির এখন ভরসা ছোট মাছ।