বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কালিম্পংয়ের বাসিন্দা মৃতা মহিলার আত্মীয়দের রাখার পর থেকে এখানকার একাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা উদ্বেগ রয়েছেন। বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটির কোয়ারেন্টাইনে ১১ জনকে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, তিনজন মহিলা এবং একজন শিশু রয়েছে। তাঁদের সাতজনের সোয়াব সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় ৭০০০ মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটিতে রোগী নিয়ে আসার বিষয়টি নিয়েও বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্যদপ্তর দাবি করেছে, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা হওয়ার কারণেই তাঁদের এখানে আনা হয়েছে। কালিম্পংয়ের বাসিন্দা মৃত ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা যে আত্মীয় ও অন্যান্যদের এখানে আনা হয়েছিল, সেই জায়গাটি ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তর সিল করে দিয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে দু’টি অ্যাম্বুলেন্সকে পৃথকভাবে শুধুমাত্র এই কাজের জন্য রাখা হয়েছে।
কোচবিহার জেলায় বর্তমানে ১১ হাজার মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে ২০ জনের বেশি আছেন। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে একজন রোগী রয়েছেন।
দার্জিলিং পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ১৮টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়েছে। মিরিক কলেজ, টিবি হাসপাতাল, ইয়ুথ হোস্টেলও এর মধ্যে রয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন ও নার্সিংহোমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুধবার জেলায় নতুন করে ৩২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার পর্যন্ত করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ৮২ জনকে। আইসোলেশনে রাখা হয়েছে আটজনকে। তাঁদের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরমধ্যে পাঁচজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে, ময়নাগুড়ি থানার সাব ইন্সপেক্টর অমিয় বর্মন মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে ৩০০০ টাকা দেন। ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা অমিয়বাবুর এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করেন।
জলপাইগুড়ি হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, শিলিগুড়ির বাসিন্দা হলেও কয়েকজনকে সুপার স্পেশালিটির কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে রাখতে হয়েছে। রাখা হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দার জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকতেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এটা করা হয়েছে। আমরা উপর মহলের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ করছি।
আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, করোনা মোকাবিলায় জেলাজুড়ে জোরদার কাজ চলছে। আমরা সতর্ক রয়েছি।