বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
গত ২৯ তারিখ গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত সুনীতাদেবী সিং(৪৪) মারা যান। তাঁর বাড়ি কালিম্পংয়ে। এরপর তাঁর সংশ্রবে আসা লোকেদের সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু করে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার প্রতিবেশীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। তাঁদেরই সোয়াব পরীক্ষা করা হয়। যারমধ্যে ছ’জনের রক্তে করোনার হদিশ মিলেছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য মিলেছে। এদিন মৃতের ওই প্রতিবেশীদের কালিম্পং থেকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদেরকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মৃত কালিম্পংয়ের ওই মহিলার চার নিকট আত্মীয়ের রক্তে বুধবার করোনা ভাইরাস মিলেছে। যারমধ্যে তিনজন শিলিগুড়ির ভক্তিনগরের বাসিন্দা। যা জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে। এনিয়ে দু’দিনে উত্তরবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। এঁরা প্রত্যেকে মৃত মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন। এনিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের একাংশ কর্তার মতে, মৃত ওই মহিলার সংস্রবে আসা অন্যদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় চারটি জায়গায় ১১০ বেডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে ১২টি জায়গায় ৩২৯ বেডের এবং শিলিগুড়ি মহকুমায় তিনটি জায়গায় ৩২৫ বেডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসবই সরকারি ও বেসরকারি জায়গায় করা হচ্ছে।