শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
জেলা পরিষদের মেন্টর তৃণমূলের মোহন শর্মা বলেন, বুধবারের ঘটনার পেছনে বাইরের দুষ্কৃতীরা জড়িত ছিল। পুলিস তাদের খুঁজে বের করুক। প্রকল্পের কাজে বাধা কাটাতে শুক্রবার ওই চা বাগানে গণ কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বাবলু কর বলেন, প্রকল্পের কাজে বাধা কাটাতে আমাদের সংগঠনও রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুরসভার প্রশাসক তথা আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, বুধবার প্রকল্পের কাজে বাধা আসলেও ফের কাজ শুরু হবে। যারা বাধা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিস আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, নতুন করে আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদেরও ধরা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার মাঝেরডাবরি চা বাগানে গিয়ে দেখা যায় কালকূট বস্তি ও সংলগ্ন এলাকা পুরুষশূন্য। শুনসান গোটা পাড়া। সেখানে শুধু মহিলা ও শিশুরাই রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ফের জানিয়েছে, দূষণের কারণে কোনওভাবেই তারা গ্রামে শহরের আবর্জনা ফেলতে দেবেন না।
বুধবার পুরসভার ওই প্রকল্পের কাজে বাধা দিতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রকল্পের পাশে অস্থায়ী পুলিস ক্যাম্প, শ্রমিক ক্যাম্প ও কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার মাটি কাটার মেশিন, ট্রাক্টর ও মোটর বাইক গুঁড়িয়ে দেয়। প্রকল্পের সামনে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরোধ করে। অবরোধ হটাতে পুলিসকে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। অভিযোগ ওঠে, পুলিসকে লক্ষ্য করে অবরোধকারীরা পাথর ও ইট ছোঁড়ে। গোটা ঘটনায় পাঁচ পুলিস কর্মী সহ মোট ১৫ জন জখম হন। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিসের উপর হামলার জন্য মোট ১৩ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে পুলিস রাতেই গ্রেপ্তার করেছে। তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে আর কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
বুধবারের গণ্ডগোলের জন্য সংশ্লিষ্ট মহল অবশ্য প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, অতীতে শহরের বাইরে উত্তর বাইরিগুড়ি, চাঁপাতলি, পুঁটিমারি ও পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রকল্প তৈরি করতে গিয়ে স্থানীয় স্তরে বাধা এসেছিল। এমন কি মাঝেরডাবরিতেও অতীতে এই প্রকল্প তৈরিতে বাধা এসেছিল। প্রশ্ন উঠেছে, অতীতের সেই তিক্ত ঘটনা জানার পরেও মাঝেরডাবরি চা বাগানে ফের এই প্রকল্প তৈরির আগে জেলা প্রশাসন কেন আগাম ব্যবস্থা নিল না? সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প থেকে যে এলাকায় দুষণ ছড়াবে না সেই বিষয়ে বোঝানো উচিত ছিল গ্রামবাসীদেরও। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে গ্রামবাসীদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে।