শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা মহিলারা বলেন, ২৫-৩০ বছর ধরে আমরা শিলিগুড়ি থেকে কলকাতাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে আপার বাগডোগরায় রাস্তার ধারে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছি। কিন্তু প্রশাসন পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই সরিয়ে দিল। আমরা দৈনিক হাজিরায় কাজ করি। বাড়ির পুরুষরা সকাল হলেই কাজ খুঁজতে চলে যান। এমন অবস্থায় কোথায় যাব আমরা।
আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের সঞ্জয় মাহাত বলেন, ওই এলাকায় বেশকিছু বাড়ি গত কয়েক বছরে তৈরি হয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য তাদের উঠতেই হবে। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন দিতে পারি না। তবে ওনারা আমাদের কাছে আবেদন করলে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে চিঠি করতে পারব।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সৌমিত্র মাইতি বলেন, পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে এদিন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। নকশালবাড়ি বিডিও বাপি ধর বলেন, এদিনের অভিযানের বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই এনিয়ে কিছু জানা নেই।
আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুজিয়াপানিতে রাস্তার দু’ধারে প্রায় ২০০টি পরিবারের বাসবাস করে। এদের মধ্যে কিছু বাড়ি পাকাও করা হয়েছে। মাস ছ’য়েক আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য এলাকার ৭০টি বাড়ি এবং দোকানে নোটিস পাঠিয়ে সরে যেতে বলে। কিন্তু কেউ না সরায় এদিন কংক্রিটের ঘরগুলি ভাঙা হয়। আর্থমুভার এনে সকাল সকাল ভাঙার কাজ শুরু হয়। যাতে কোনও বাধা না আসে সেজন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পুলিস নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। সীমানা পাঁচিল, ঘরের পাকা দেওয়াল, টিনের চাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এই অভিযানে এলাকায় ব্যাপক যানজট হয়। ট্রাফিক পুলিস পৌঁছে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে।
শিলিগুড়ি থেকে কলকাতাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে অনেকদিন ধরেই সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কিন্তু একাধিক জায়গায় পূর্তদপ্তরের জমি দখল করে বাড়িঘর, দোকান গড়ে ওঠায় সমস্যা হচ্ছে। এদিকে নেপাল-ভারত-বাংলাদেশকে যুক্ত করতে এশিয়ান হাইওয়-২’র কাজ বাগডোগরায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। বাগডোগরার বিহারমোড় থেকে ভুজিয়াপানি পর্যন্ত প্রায় চার কিমি রাস্তায় একাধিক জায়গায় সরকারি জমিতে বসতি গড়ে ওঠায় ওসবই এখন পর্যায়ক্রমে ভাঙার কাজ শুরু করল প্রশাসন। যদিও সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। তাই তাঁরা পুর্নবাসনের দাবি তুলেছেন।