পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের চিকিৎসক দেবারতি দে, রেডিওলজিস্ট দেবাশিস ভট্টাচার্য ও ফিজিক্যাল মেডিসিনের আর গুলাটির মেডিক্যাল বোর্ড এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অ্যাথলিট রমেশের চিকিৎসা করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্ষতস্থানে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিশেষ পদ্ধতিতে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, কলকাতায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই চিকিৎসা পরিষেবা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে কোথাও এধরনের চিকিৎসা হয় না। এদিন এক অ্যাথলিটের জন্য এই বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন থেকে এধরনের সমস্যা নিয়ে অন্য রোগীরা এলে তাঁরাও এই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।
চিকিৎসক গুলাটি বলেন, খেলোয়াড়দের লাফ দেওয়ার সময় অনেক সময় থাইয়ের মাংসপেশী ভিতর থেকে ছিঁড়ে যায়। আবার উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গিয়েও অনেকের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এধরনের চোটে রোগীর ক্ষতস্থানে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হবে। ভিতরে ভিতরে রক্তক্ষরণ হবে। যন্ত্রণায় ক্ষতস্থান ফুলেও যায়। এধরনের চোট নিরাময়ের জন্য আলট্রাসাউন্ড গাইডেড প্লেটলেট রেইজ প্লাজমা ট্রিটমেন্ট দিতে হয়। এধরনের চিকিৎসার জন্য কিটের অনেক দাম। তবে আমরা এদিন ম্যানুয়ালি এই চিকিৎসা সফলভাবে করেছি। সাইয়ের অ্যাথলিট রমেশ ওঁরাও বলেন, কলকাতার একটি বড় বেসরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে জানিয়েছিল। অত টাকা আমার নেই। এক শিক্ষকের পরামর্শে জলপাইগুড়ির সংসদ সদস্য তথা জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বিজয় চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে দেখা করে আমার সমস্যার কথা জানাই। তাঁর পরামর্শে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর এদিন আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। গত প্রায় এক বছর ধরে ডান থাইয়ের যন্ত্রণায় কষ্ট পেয়েছি। আশা করছি, এদিনের চিকিৎসার পর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারব।