পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
বইমেলা কমিটির ভাবনা, মেলায় কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণীদের সঙ্গেই ভিড় জমান পরিণত বয়সের অনেকে। সকলেই বই কিনতেই আসেন বা প্রতিদিনই বই কেনেন এমন নয়। অনেকেই আসেন সেখানে পুরনো পরিচিতজনের দেখা সাক্ষাত করতে। নিছক আড্ডা দিতে। সেই ফাঁকে অপাঙ্গে চাউনির জায়গাও হয়ে ওঠে মুক্ত প্রাঙ্গণ। কমিটি এদের সকলের কাছেই ভালোবাসার অবসর এনে দিতে চেয়েছে মাত্র। আর তা ডিজিটালের হাত ধরে নয়। একসময়ের প্রেম প্রকাশের ভরসা কাগজ-কলমের হাত ধরে। পাশাপাশি কমিটি জানিয়েছে, বইমেলায় থাকবে নিজস্ব রেডিও চ্যানেল ‘রেডিও রোদ্দুর’। যে মঞ্চ থেকে পরিচালনা করা হবে ‘রেডিও রোদ্দুর’ তার কাছাকাছিই থাকবে ডাকবাক্স। সেখানেই হাতে লিখে প্রেমের চিঠি বা চিরকূট আপনি ফেলতে পারবেন। এতে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদেরও আহ্বান জানাচ্ছে কমিটি। কর্তৃপক্ষের আশা, ভালই সাড়া পাওয়া যাবে এই নতুন থিমে। অনেকেই পুরনো কিংবা অব্যক্ত প্রেম প্রকাশের সুযোগ পাবেন। কৈশোর বা যৌবনে যে আবেগ অপ্রকাশিত থেকে গিয়েছিল তা মেলে ধরা যাবে এই বইমেলায়।
বহুদিন পরে এবার মালদহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কলেজ ময়দান থেকে সরে গিয়েছে বইমেলা। শহরের একপ্রান্তে বড় শিবতলার মাঠে নদীর ধারে বসছে এবারের বইমেলা। স্থান পরিবর্তন যেন বইমেলার দর্শক সমাগমে ভাঁটা না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তাই এবার বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বইমেলা কমিটি। নদী-প্রেম-গান-কবিতা আর বই সবেরই সমাহার হবে সেখানে। মহানন্দা নদীর বুকে একটি ভাসমান রেস্তরাঁর পরিকল্পনাও রয়েছে বইমেলা কর্তৃপক্ষের। সেখানে শীতের সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা চা-কফির সঙ্গে হাতেগরম স্ন্যাক্সও পাবেন বইপ্রেমীরা।
এই প্রথম বইমেলায় গান শোনাতে আসছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গায়িকা রেজওয়ানা চৌধুরি বন্যা। তাঁর সঙ্গীতের টানেও যে অনেক নাগরিকই এবার বইমেলামুখো হবেন তা বলা বাহুল্য। গান শোনাবে ফোক ব্যান্ড ‘মনদরিয়া’ও।
আরও আছে আয়োজন। কলকাতা বইমেলার মমার্তের ধাঁচে থাকবে মুক্তমঞ্চ ‘উল্লাস’। সেখানে নিজেদের সৃজনশীল শিল্প পরিবেশন করতে পারবেন শিল্পীরা। প্রতিদিন দেখানো হবে দু’টি স্বল্প দৈর্ঘের সিনেমা। বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠী পরিবেশন করবেন একাঙ্ক নাটক। থাকছে গম্ভীরাও। থাকছে জনপ্রিয় তর্কবিতর্কের প্ল্যাটফর্ম ‘বিকালের ব্যালকনি’।
মালদহ বইমেলায় প্রতি বছরই থাকে দু’টি মঞ্চ। মূল মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিন থাকে আলোচনা বাসর। তুলনামূলক ছোট মঞ্চটিতে হয় সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। মালদহের বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক প্রয়াত কমল বসাককে বিশেষভাবে স্মরণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে বইমেলা কমিটি। তাঁর লেখা বই এবং গবেষণাপত্র নিয়ে থাকছে আলাদা একটি স্টল। এবার বইমেলা শুরু হচ্ছে ১৬ জানুয়ারি। প্রথমে ২২ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২৩ জানুয়ারি ছুটির দিন হওয়ায় একদিন বাড়ানো হতে পারে বইমেলা। বর্ণাঢ্য মিছিল দিয়ে শুরু হবে ‘বইমেলা পদযাত্রা’। মেলা উদ্বোধন করার কথা কবি শ্রীজাত’র। সব মিলিয়ে বইমেলার স্থান পরিবর্তন হলেও জনপ্রিয়তায় এই বইমেলা পিছনের সব মেলাকে ছাপিয়ে যাবে বলেই আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।