পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
থানায় ঢুকে ছেলেকে মারধরের ঘটনায় সস্ত্রীক প্রাক্তন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে করা রাজমোহনবাবুর অভিযোগের তদন্তের তদন্তকারী অফিসার (আইও) ফালাকাটা থানার আইসি সমীর পাল বলেন, আগামী ২১ তারিখ এই কেসের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে। আদালতের নির্দেশে হরিনাথপুরের যুবক বিনোদ রবিবার ফালাকাটা থানায় হাজিরা দিয়েছেন। তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। প্রাথমিক কথাবার্তা বলে সই করেই ছাড়া হয়েছে। পুলিসের পক্ষ থেকে হাজিরা দেওয়ার সই সম্বলিত কাগজও তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, প্রাক্তন জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণান তাঁকে হেনস্তা করার জন্য বিনোদের বিরুদ্ধে যে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই কেসে আজ, সোমবার বিনোদবাবু আদালতে হাজির হবেন বলে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন। সেইমতো এদিন বিকালে বিনোদের দাদা মৃত্যুঞ্জয় সরকার ভাইকে নিয়ে ফালাকাটা থানায় যান। পরে মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, আমরা সোমবার বিনোদের জামিনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করব।
গত ৬ তারিখ গ্রেপ্তার হন বিনোদ সরকার। পরের দিন ৭ তারিখ তিনি আলিপুরদুয়ার আদালতের এসিজেএম-২ আদালতে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান। সপ্তাহে একদিন থানায় হাজিরা দিতে হবে এই শর্তে জামিন পান বিনোদবাবু। সেই হিসাবে রবিবারই বিনোদবাবুর থানায় হাজিরা দেওয়ার প্রথম দিন ছিল। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় পুলিস বিনোদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও একটি পার্স বাজেয়াপ্ত করে। এদিন হাজিরা দেওয়ার সময় পার্সটি ফেরত পেলেও তাঁকে মোবাইল ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়নি। বিনোদের দাদা মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, প্রাক্তন জেলাশাসকের স্ত্রীর বান্ধবীদের বিরুদ্ধে আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির আলিপুরদুয়ার শাখার সাহায্যে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।
এদিকে, সস্ত্রীক প্রাক্তন জেলাশাসক নিখিল নির্মল রবিবারও তাঁর বাংলোতেই ছিলেন। তবে এদিনও বাইরের লোককে বাংলোয় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সংক্রান্তি থাকায় সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার প্রাক্তন জেলাশাসক বাংলো ছাড়তে পারেন।
এদিকে শনিবার রাতেই নতুন জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস শহরে ঢুকে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপাতত নতুন জেলাশাসকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সার্কিট হাউসের দ্বিতলের ১ নম্বর রুমে। রবিবার ঘুম থেকে উঠেই নতুন জেলাশাসক সকাল সকাল মাদারিহাট ব্লকের হান্টাপাড়া চা বাগানে আদিবাসী মেলায় চলে যান। সেখান থেকে তিনি ফালাকাটা ব্লকেও যান।
নতুন জেলাশাসক হান্টাপাড়া চা বাগানে আদিবাসী মেলা প্রসঙ্গে বলেন, শনিবার রাতের দিকেই আলিপুরদুয়ার জেলায় কাজে যোগ দিয়েছি। রাজ্য সরকার কিছু নির্ধারিত ব্লকে এই মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি যে এমন একটা জেলার জেলাশাসক হলাম যে জেলার ছ‘টি ব্লকে এই মেলা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করা হচ্ছে। এদিন মাদারিহাট ব্লক ছাড়াও ফালাকাটা ব্লকেও গিয়েছি। দু’একদিনের মধ্যে নতুন জেলার সবক’টি ব্লক ঘুরে দেখব। তারপর দেখব কোথায় কোথায় কী উন্নয়ন পরিষেবার ফাঁক রয়েছে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন হান্টাপাড়া চা বাগানের শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নতুন জেলাশাসক বলেন, এই সমস্যার কথা এখানে এসে শুনলাম। আমি অবশ্যই বিষয়টি দেখব।