বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
গত ২৯ নভেম্বর তেলেঙ্গানায় ২৬ বছরের এক মহিলা পশু চিকিৎসককে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হায়দরাবাদ পুলিস গ্রেপ্তার চার যুবককে। ৬ ডিসেম্বর কাকভোরে পুলিসের গুলিতে নিহত হয় চার অভিযুক্তই। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় অভিযুক্তরা পুলিসের রিভলবার ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ও পাথর ছোঁড়ে বলে পুলিসের দাবি। সেই কারণেই ‘আত্মরক্ষার্থে’ পুলিসকে পাল্টা গুলি চালাতে হয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ পুলিসের কর্তারা। এভাবে এনকাউন্টারে চার ধর্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিসের প্রশংসা জুটলেও বিভিন্ন মহল থেকে বিস্তর প্রশ্ন ওঠে। ‘তাৎক্ষণিক বিচার সমর্থনযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিও।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তেলেঙ্গানার ঘটনায় কিছু পরস্পরবিরোধী মত তৈরি হয়েছে। সেই কারণে পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া আবশ্যক বলে মনে করছে আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা আমাদের জানা নেই। পুলিসকেও এব্যাপারে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। কী পরিস্থিতির মধ্যে তাদের পড়তে হয়েছিল এবং যে কারণে চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তার সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ সেই সঙ্গে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তেলেঙ্গানার ঘটনার এমন কিছু দিক উঠে আসছে, যেগুলি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে আমরা সহমত পোষণ করছি। গঠিত তদন্ত কমিশন সেদিনের ঘটনার যাবতীয় দিকগুলি খতিয়ে দেখবে। তদন্তের ক্ষেত্রে সবার সহযোগীতা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেছে বেঞ্চ।
নির্দেশের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই তদন্তের কাজ কমিশনকে শুরু করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ছ’মাসের মধ্যেই কমিশনকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। তদন্তকারীদের যাবতীয় নিরাপত্তায় আধাসেনাকে নিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ার আগে কিংবা পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও আদালতের তত্ত্বাবধানে কিংবা অন্য কোনও সংস্থা এনকাউন্টারের ঘটনায় তদন্ত করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ। এর ফলে তেলেঙ্গানা সরকারের গঠিত সিটের তদন্ত মাঝ পথে থমকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সিটের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
স্বভাবতই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই এনকাউন্টারে নিহত অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষণ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। এর আগে হাইকোর্ট মৃত অভিযুক্তদের দেহ শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সেই বিষয়ে শুনানি চলাকালীন তদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়টি আদালতকে জানান তেলেঙ্গানার অ্যাডভোকেট জেনারেল। তার পরেই শুনানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আর এস চৌহানকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেলও বেঞ্চকে জানিয়ে দেন, অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষণের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।