শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
হাসপাতালে শুয়েই সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট দয়াশঙ্কর পাঠকের সামনে এদিন রক্ত হিম করা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন নির্যাতিতা তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে শিবম ও শুভম ত্রিবেদি তাঁকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে। তিনি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তদের জেল হয়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ওই মামলার কাজেই সকালে উন্নাওয়ের গ্রামের বাড়ি থেকে রায়বেরিলির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি। বাড়ির অদূরে দৌরা মোড়ের কাছে পৌঁছতেই শিবম ও শুভম সহ আরও তিনজন তাঁকে ঘিরে ফেলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্তরা তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই রাস্তা দিয়ে ছুটতে শুরু করেন ওই তরুণী। পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় শেষমেশ তাঁকে লখনউয়ের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতালের সুপার আশুতোষ দুবে বলেন, ‘এদিন সকাল ১০টা নাগাদ মেয়েটিকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। ওর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দলকে ওঁর চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ বিকেলেই অবশ্য লখনউ থেকে ওই তরুণীকে বিমানে করে দিল্লি নিয়ে এসে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসকের গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এখনও ফিকে হয়নি। এরই মধ্যে উন্নাওয়ের এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতি। ঘটনার পরপরই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন ও পুলিসের শীর্ষকর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ অবস্তি বলেন, ‘ডিভিশনাল কমিশনার এবং লখনউ জোনের আইজিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ পাশাপাশি তরুণীর জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন আদিত্যনাথ।
যদিও, রাজ্যের নারী সুরক্ষার এই বেহাল দশার জন্য যোগী সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলে তোপ দেগেছে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। এদিন ট্যুইটারে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা লেখেন, প্রতিদিন এই ধরনের ঘটনা দেখতে দেখতে খুব রাগ হয়।’ অন্য একটি ট্যুইটে তিনি নির্যাতিতার দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন। অন্যদিকে সপা সরাসরি সরকারকে নিশানা করে রাজ্য পুলিসের ডিজির অপসারণ দাবি করেছে। আসরে নেমেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ইতিমধ্যেই ডিজি ওপি সিংয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি গত তিন বছরে এই ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনায় কতজন জামিন পেয়েছে, তারও একটি তালিকা পুলিসকে দিতে বলেছে কমিশন।