কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
শনিবার অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। মুসলমান সমাজের প্রতি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, প্রফেট মহম্মদ ইসলামে দু’টি গুণের কথা বলেছেন — ভালোবাসা ও ক্ষমা। সলমনের বাবার কথায়, ‘‘এই ঘটনার (অযোধ্যা বিতর্ক) ‘শেষে’ উক্ত দু’টি গুণের কথা মনে রেখে মুসলমানদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। ভালোবাসা দেখান আর ক্ষমা করুন। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না। এখান থেকেই এগিয়ে চলুন।’
এখানেই থেমে থাকেননি বিশিষ্ট চিত্র প্রযোজক সেলিম খান। এক সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সংবেদনশীল রায় বেরনোর পর যেভাবে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা হচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। দীর্ঘদিনের পুরনো বিতর্কের অবসান হল। সেই রায় গ্রহণ করুন। হৃদয় থেকে আমি এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।’ কিন্তু, শীর্ষ আদালতের বরাদ্দ জমিতে কেন মসজিদের পরিবর্তে স্কুল চান সলমনের বাবা? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘নামাজ তো আমরা ট্রেন, বিমান, মাটি যেকোনও জায়গায় পড়ে নিতে পারি। কিন্তু, আমাদের ভালো স্কুল চাই। ২২ কোটি মুসলমান যদি ভালো শিক্ষা পায়, তাহলে দেশের বহু সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে।’
একইসঙ্গে, অযোধ্যা রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শান্তি বজায় রাখার আবেদনেরও প্রশংসা করেছেন সেলিম খান। বর্তমানে দেশের জনতার সত্যিই শান্তি প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্যস্থির করতে শান্তি প্রয়োজন। ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে আমাদের। আমাদের বোঝা উচিত, যাঁরা প্রকৃত শিক্ষিত, তাঁরাই উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন। আসল সমস্যা হল, মুসলমানরা ততটা শিক্ষিত নয়। তাই আমি আবার বলছি, অযোধ্যা মামলায় ইতি টানুন। শুরু করুন নতুন পথচলা।’