সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
রাহুল গান্ধী (কংগ্রেস সাংসদ): আদালতের রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সবাইকে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হবে। ভারতীয়দের মধ্যে ভালোবাসা, আস্থা ও মেলবন্ধন গড়ার এটাই সময়।
যোগী আদিত্যনাথ (উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী): মাননীয় সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দেশে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা করা প্রয়োজন। উত্তরপ্রদেশ সরকার শান্তি, সুরক্ষা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর।
রবিশঙ্কর প্রসাদ (কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী): ভগবান রাম সর্বদা মার্জিত আচরণের কথা বলেছেন। আসুন সবাই মিলে শান্তি, বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার অঙ্গীকার করি। আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির শাশ্বত ধারণায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভারত আরও এগবে এবং সমৃদ্ধ হবে।
মুখতার আব্বাস নারভি (বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ): কয়েক দশকের পুরনো অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সকলের খোলা মনে স্বাগত ও সম্মান জানান উচিত। দেশের ঐক্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বকে মজবুত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
সীতারাম ইয়েচুরি (সাধারণ সম্পাদক, সিপিএম): আমাদের দল বরাবরই বলেছে, রফা সম্ভব না হলে বিচার বিভাগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। এই রায় বিতর্কিত বিষয়ের আইনি সমাধান দিলেও রায়ের কিছু অংশ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’
সর্বানন্দ সোনেওয়াল (অসমের মুখ্যমন্ত্রী): সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। পাহাড়, সমতল, ব্রহ্মপুত্র বারাক উপত্যকায় বসবাসকারী মানুষকে শান্তি ও সৌহার্দ্য এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আর্জি জানাচ্ছি। জনগণ এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে বলে আমি আশাবাদী।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা (অসমের অর্থমন্ত্রী): রামজন্মভূমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্য রায়কে স্বাগত জানাই। সমস্ত ধর্মের মানুষকে এই রায়কে স্বাগত জানাতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বাজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি।
মনোহরলাল খট্টর (হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী): অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঐতিহাসিক। দেশের সামাজিক সৌহার্দ্যকে মজবুত করবে এই রায়।
অশোক গেহলট (রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী): দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে এই রায়। সকলের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা উচিত। সমাজবিরোধী তথা যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছি। বিজেপি, ভিএইচপি ও আরএসএসের অনেক আগেই বিষয়টি বিচার বিভাগের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে হিংসা বা রক্তের বন্যা থেকে দেশকে বাঁচানো যেত।
শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী (ধর্মগুরু): সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমি খুশি। আর এতেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বিতর্কিত ওই জায়গাই ভগবান রামের জন্মভূমি। শ্রীরাম অযোধ্যায় জন্মেছেন এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সৈয়দ আহমেদ বুখারি (জামা মসজিদের ইমাম): আমরা আদালতের রায়কে মেনে নিয়েছি। বছরের পর বছর ধরে হিন্দু-মুসলমান যে ইস্যুটি চলছিল, তাতে ইতি পড়ল। ভারতের মুসলমানরা দেশে শান্তি চায়। আদালতের রায়ের আগে সমস্ত মুসলমান সমাজ জানিয়ে দিয়েছিল, রায় যাই-ই হোক তা মেনে নেওয়া হবে।
উদ্ধব থ্যাকারে (শিবসেনা সুপ্রিমো): সকলেই প্রত্যাশা করেছিল খুব শীঘ্র সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা নিয়ে রায দেবে। কারও ভাবাবেগে আঘাত না করে এই রায় উদযাপন করতে আমি শিব সৈনিকদের কাছে আবেদন করছি।
রাজ থ্যাকারে (নব নির্মাণ সেনা সুপ্রিমো): শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। তথ্য ও আবেগকে ভিত্তি করে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। খুব শীঘ্র রামমন্দির নির্মাণ করা হবে। রামরাজ্যও প্রতিষ্ঠিত হবে।
অখিলেশ যাদব (সপা সুপ্রিমো): যে সিদ্ধান্ত ফাঁক বুজিয়ে সেতুবন্ধন করে, তা জনগণকে আরও ভালো মানুষ তৈরি করে।