সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এদিকে এদিন সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পরেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইস্যুতে একটি পর্যালোচনা বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজিত ভাল্লা, আইবি প্রধান অরবিন্দ কুমারেরা ওই বৈঠকে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে রায়-পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সবিস্তার জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশিই আরও কয়েকটি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজখবর নেন অমিত শাহ।
এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার রায়দানের পরেই পরপর কয়েকটি ট্যুইট করে এর প্রতিক্রিয়া দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতে তিনি লেখেন, ‘অযোধ্যা রায়কে কোনও পক্ষেরই জয় বা পরাজয় হিসেবে দেখা উচিত নয়। রামভক্তি বা রহিম ভক্তি যাই থাকুক না কেন, আমাদের সকলকেই এখন রাষ্ট্রভক্তি দেখাতে হবে। রক্ষা করতে হবে দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি।’ ট্যুইটে মোদি লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কয়েকটি কারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করে দিয়েছে, বিতর্ক যাই থাকুক না কেন, শেষমেশ তার সমাধান হবে আইনের মাধ্যমেই। এই রায়ের মাধ্যমে দেশের আইনব্যবস্থা যে কতটা স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তা ফের প্রমাণ হয়েছে। এবং এই রায় দেখিয়েছে আইনের চোখে সকলেই সমান।
যে ইস্যু চলছিল দশকের পর দশক ধরে, অবশেষে তার একটি সমাধান হল। প্রত্যেকে নিজের বক্তব্য রাখার উপযুক্ত সময় পেয়েছেন এখানে। প্রতিটি অভিমুখ খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর ফলে দেশের আইনব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পাবে।’ একইসঙ্গে দেশের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ যেভাবে দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর হয়েছেন, ট্যুইটে তারও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই একই সুরে রায়-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন অমিত শাহও। এদিনের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইটে অমিত শাহ লিখেছেন, ‘আমি দেশের সকল সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষের কাছে এই রায়কে সহজভাবে গ্রহণ করার আর্জি জানাচ্ছি। শান্তি এবং সৌহার্দ্যের পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব সকলেরই। দশকের পর দশক ধরে চলে আসা একটি বিতর্কে অবসান হয়েছে আজ। এই রায় ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সংস্কৃতিকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে।’ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, অযোধ্যা মামলা নিয়ে আজ এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রায়দানের পর ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও। বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট একটি ল্যান্ডমার্ক রায় দিয়েছে। আজ ভারতের জয়ের দিন। এই রায়কে আমরা স্যালুট জানাই। ভগবান রাম সবসময় মর্যাদাপূর্ণ আচরণের কথা বলেছেন। ফলে এই শান্তি ও পারস্পরিক বোঝাপড়া আমাদের শক্তিশালী করতে হবে।’
বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির ব্যাপারে দল সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। এবং এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে। এদিন এক প্রেস বিবৃতিতে নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘এই রায় স্পষ্ট করে দিয়েছে, আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং দেশের গণতন্ত্রের শিকড় অনেক বেশি শক্তিশালী।’ এই রায়কে কারও জয় পরাজয় হিসেবে না দেখার আর্জি জানিয়ে এদিন দিল্লিতে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুরাও এদেশের নাগরিক। ফলে অতীত ভুলে আমাদের এখন একসঙ্গে মন্দির তৈরির কাজে হাত দিতে হবে।’