শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
বাকি দু’জন বিধায়ক হলেন কালিয়াগঞ্জের তপন দেবসিংহ এবং করিমপুরের বিমলেন্দু সিংহরায়। তাঁদের সঙ্গেও দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদেরও জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। আগামী ৯ ডিসেম্বর, সোমবার খড়্গপুরের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাতে যাবেন তিনি। পরে কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরেও যাবেন বলে জানিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে নতুন বিধায়করা অধিবেশনে ঢোকেন। ডেঙ্গু নিয়ে বক্তৃতা করার মাঝেই তাঁদের শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বলেন, নম্রভাবে, বিনয়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে আরও ভালো ব্যবহার করতে হবে। বিজেপি’র ঔদ্ধত্য-অহঙ্কারের জবাব দিয়েছে মানুষ। এগুলোকে মানুষ ভালোভাবে নেয় না। সকল বিধায়ককেই তিনি বিনয়ের সঙ্গে কাজ করতে পরামর্শ দেন।
এদিন ভাটপাড়ার কাউন্সিলার ও বিজেপিতে যাওয়া ‘টাফ’ ছেলেদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে ছিলেন বারাকপুরের দলীয় আহ্বায়ক নির্মল ঘোষ ও পার্থ ভৌমিক। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দলের কাজকর্ম করার পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য, আগামী ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা আনতে চলেছে তৃণমূল। গত ২৩ মে’র লোকসভার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরে ওই পুরসভা প্রথম বিজেপি’তে নাম লেখায়। বর্তমানে সেখানেও ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলার তৃণমূলে রয়েছেন। আরও চারজন তৃণমূলে ফিরে আসতে চলেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলারই তৃণমূল শিবিরে রয়েছে বলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দলীয় বিধায়কদের জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অমিত শাহের এনআরসি হবে বলে হুঙ্কারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা পরিষ্কার বলেছেন, এ রাজ্যে এনআরসি হবে না। যে যাই বলুক, আমরা এনআরসি করতে দেব না। আমরা নির্বাচিত সরকার। আমাদের অনুমতি ছাড়া এনআরসি চালু করা সম্ভব নয়। ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্যবাসীকে ভাগাভাগি করা যাবে না।