কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই ১৩ কোটি টাকার কম্পোজিট গ্রান্ট গিয়েছে। এই খরচের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) দিতে হবে জুলাইয়ের শেষে। কম্পোজিট গ্রান্টের বৈশিষ্ট্য হল, এই অনুদানের টাকা কোনও নির্দিষ্ট খাতে খরচ করতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। তবে, কোনও কর্মীর টিএ, ডিএ বা টিফিন খরচের মতো বিষয়ে ব্যয় করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূল বিষয় হল, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সরাসরি সম্পর্কিত এমন কোনও খরচ এই কম্পোজিট গ্রান্টের মাধ্যমে করা যাবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, স্কুলগুলির কাছে এই গ্রান্ট আসার প্রয়োজন বহুদিন ধরেই ছিল। শিক্ষার অধিকার আইনের বিধিনিষেধের কারণে স্কুলগুলি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের থেকে কোনও বেতন নিতে পারে না। নিলেও সেটা সর্বোচ্চ ২৪০ টাকার বেশি হয় না। অথচ স্কুলকে বিভিন্ন খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। বিদ্যুতের বিল, স্টেশনারি খরচ সহ বিভিন্ন খাত রয়েছে, যেখানে আয়ের উৎস স্কুলগুলিকেই খুঁজতে হয়। অনেক স্কুলই এটা সামাল দিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের থেকে অত্যধিক ফি বা বেতন নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু সরকারের কড়াকড়িতে সেটাও সম্ভব হয় না। তাই প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের জন্য এই গ্রান্ট খুবই সহায়ক হবে।
এদিকে, শিক্ষা দপ্তর জরুরি ভিত্তিতে মোট প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ইউসি চেয়ে পাঠিয়েছিল সমস্ত জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান এবং ডিআইদের কাছে। কড়া চিঠিতে বলা হয়েছিল, স্কুলের আসবাবপত্র কেনার জন্য দু’ধাপে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। তার ইউসি গত বছরের শেষে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আসেনি। ২৫ মার্চের মধ্যে তা পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, অনেক জেলা থেকেই তা সময়ের মধ্যে আসেনি। আধিকারিকদের কেউ কেউ বলছেন, নির্দিষ্ট খাতে দেওয়া অনুদানের ইউসি আসতেই যদি এত দেরি হয়ে যায়, তাহলে কম্পোজিট গ্রান্টের সার্টিফিকেট কবে হাতে পাওয়া যাবে, তার তো কোনও ঠিক নেই।