কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য বলেন, যদি ভোটের ময়দানে গা ঘামাতে নেমে তরতাজা থাকতে হয়— প্রথমেই বলব সেরা হেলথ ড্রিংক্স হল ডাবের জল! সমস্ত ধরনের উপকারী আয়নই আছে তার মধ্যে। আছে পটাশিয়ামের মতো জরুরি উপাদানও। সুগারের রোগীরাও নিশ্চিন্তে পান করতে পারেন ডাবের জল।
এরপরই বলব এমন একটি শরবতের নাম, যাকে আয়ুর্বেদে আমরা বলি তক্র। চেনা নাম ঘোল। কীভাবে চটলজদি আদর্শ ঘোল বানাবেন জেনে নিন। এর প্রাথমিক উপাদান ঘরে পাতা সাদা দই বা টক দই। দই কিন্তু ঘরে পাতা হলেই এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। তাতে পরিমাণ মতো নুন ও চিনি দিয়ে বানান তক্র। অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ামও পাবেন। পেট খারাপের সমস্যা থাকলেও ঘোল বা তক্রের মতো উপকারি হেলথ ড্রিঙ্কস কমই আছে। প্রয়োজনীয় ল্যাকটোব্যাসিলাস থাকায় এটি দুর্বল অন্ত্রকে অনেকটাই সতেজ করে।
ডাঃ ভট্টাচার্য বলেন, নুন-চিনির জল বাঙালির ঘরে ঘরে পরিচিত অত্যন্ত উপকারী শরবত। এতে বৈচিত্র্য আনতে এর সঙ্গে জিরে পাউডার এবং পুদিনা জ্যুস দিলে তা ভোট ময়দানে ঘুরে বেড়ানো বিধ্বস্ত শরীরকে নিমেষে ঠান্ডা করবে। গরমকালে অনেকেই তরমুজের রস পান করতে ভালোবাসেন। কম হলেও টুকটাক অনেকে জানেন শশার রস বানাতে। দুটিই আলাদা করে শরবত বানিয়ে পান করতে পারেন। এই দুই ফলের রস মিশিয়ে কিন্তু খুব এনার্জেটিক শরবত বানানো সম্ভব। তাতে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে দিতে পারেন। এক্কেবারে লা-জবাব ব্যাপার হবে।
নিউট্রিশনিস্ট অরিত্র খাঁ বলেন, তরমুজের পাশাপাশি খরমুজের শরবতও এসময়ে শরীর খুব ঠান্ডা রাখতে পারবে। ‘ব্যানানা শেক’ আর একটি অত্যন্ত সহজে বানানো শরবত, যেটি এই গরমে শরীরকে ঠিকঠাক রাখবে। কীভাবে বানাবেন এই শেক? পরিমাণ মতো কলা, দুধ এবং চিনি দিয়ে এই শেক বানানো আহামরি কোনও ব্যাপারই নয়। টম্যাটো-হানি শেকও এ সময় শরীর চাঙ্গা রাখতে পারে। টম্যাটো বীজ ছাড়িয়ে খোসাগুলি নিয়ে বানাতে হবে এই শরবত। তাকে মিষ্টি করতে পরিমাণ মতো চিনি আর মধু মেশানো যেতেই পারে।
লোকসভা ভোটের প্রার্থী থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক—প্রত্যেকের জন্য হালকা খাবারের একটি তালিকা তুলে দিয়ে নিউট্রিশনিস্ট অরিত্রবাবু। দিয়েছেন কয়েকটি জরুরি টিপসও। জানিয়েছেন, ভরা পেটে ভোটের প্রচারে নয়। হালকা খাবার, মুড়ি, চিঁড়ে চলতে পারে। মুড়ির সঙ্গে অঙ্কুরিত ছোলা, বাদামও ভালো। চিঁড়ে-দই, মুড়ি-দই তো লা-জবাব!