কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক জেলা তৃণমূলের যুব নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনে যেই জড়িত থাক, ছাড় পাবে না বলে তৃণমূলের ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেছেন মহাসচিব। তিনি বলেন, বিজেপিই এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে। সরাসরি নাম না করলেও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা বিজেপিতে যাওয়া এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতার দিকেই আঙুল তুলেছেন পার্থবাবু। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও দলীয় সভায় কিংবা সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে ‘গদ্দার’ বলে অভিহিত করেছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়, কিছুদিন যাবৎ কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায় নানাভাবে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হচ্ছিল। সত্যজিতকে খুন করতে পারলে এলাকায় বিজেপির সুবিধা হবে। সেই লক্ষ্যেই তাঁকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। সেই পরিকল্পনা মাফিক এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়েছেন মমতা। ইতিমধ্যেই ব্রিগেড সমাবেশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার রাজনৈতিক অতিসক্রিয়তার অভিযোগে কলকাতায় মেট্রো চ্যানেলে মমতার তিনদিন ব্যাপী ধর্না দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে। ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিরোধী নেতা-নেত্রী মমতার কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে এসেছিলেন। বেশ কিছু নেতা সামাজিক মাধ্যমে মমতার ধর্না আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এই পটভূমিতে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত যে আরও তীব্র আকার নেবে, সেটাই প্রত্যাশিত। এদিন সামাজিক মাধ্যমে জিগনেশ মেভানির বার্তায় কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের ঘটনা জাতীয় স্তরে আলোচ্য হয়ে গিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আক্রমণের চেষ্টার পর বাংলায় তৃণমূল বিধায়ক খুন, দু’টি ক্ষেত্রেই বিজেপি-আরএসএস সক্রিয় বলে মনে করেন জিগনেশ। প্রতিদিনই এই ফ্যাসিস্ট শক্তি নির্লজ্জ হয়ে উঠছে বলে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন জিগনেশ। অর্থাৎ তৃণমূল বিধায়কের খুনকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মানতে নারাজ মোদির কট্টর বিরোধী এই দলিত নেতা।
বিজেপি অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে খুনের ঘটনায় তাদের নাম জড়ানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেছে। বিজেপির মতে, নিজদের দলের গোষ্ঠী কোন্দলের শিকার হয়েছেন সত্যজিৎ। হাজার বাধা সত্ত্বেও ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশ সফল হতেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই নিজেদের গোলমালকে আড়াল করে বিজেপির বদনাম করতে চাইছে তৃণমূল। মানুষ সব বুঝতে পারছে বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।