যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ
এখন ভারতের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে ৫৪৫ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। গত সপ্তাহেও যা ছিল ৫৫০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, ৫০০ কোটি ডলার কমেছে। আবার তার আগের সপ্তাহে এই হ্রাসের পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ডলার। এই নিম্নমুখী প্রবণতা সঙ্কট বাড়াচ্ছে অর্থনীতির। অন্যদিকে, ২০২২ সালে যে হারে ডলারের নিরিখে টাকার বিনিময় মূল্য ঊর্ধ্বমুখী, সেটাও রেকর্ড। এই বছরের শুরুতে এক ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৭৩ টাকা ৫০ পয়সা। সেটা এদিন বাড়তে বাড়তে ৮১ টাকা ২০ পয়সায় এসে দাঁড়িয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও ঘাটতি বেড়ে চলেছে। ভারত সরকার বারংবার গর্ব করছে যে, রপ্তানি বাণিজ্য রেকর্ডস্তরে পৌঁছেছে। কিন্তু একইসঙ্গে যে আমদানিও চলছে রেকর্ড হারে, সেটা প্রচারের পিছনের সারিতে থেকে যাচ্ছে। আর সেই কারণে এখনও পর্যন্ত আত্মনির্ভর ভারতের স্লোগানের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না অর্থনীতিতে।
টাকার দামে পতন, দেশের অভ্যন্তরে মূল্যবৃদ্ধির হার চরমে ওঠা, বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে ধস এবং ক্রমেই বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি বাড়া—এই চারটি ফ্যাক্টর একটাই আশঙ্কা হচ্ছে, অর্থনৈতিক মন্দা। সবথেকে বড় আশঙ্কার কথা, প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার মহাসঙ্কট এই চারটি বিষয় দিয়েই শুরু হয়েছিল। যদিও ভারত সরকার বারংবার জানাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের আর্থিক শক্তির কোনও তুলনা হয় না । কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সেটাই চরম সঙ্কটের ছায়া ফেলছে। আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নীতি নির্ধারণ কমিটি। এই চারটি ফ্যাক্টর একসঙ্গে সামনে চলে আসায় এটা নিশ্চিত যে, আবার বাড়তে চলেছে রেপো রেট। সম্ভবত ৩৫ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট।