যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ
প্রায় ৬০০ বছর আগে মুখোপাধ্যায় পরিবারের পূর্বপুরুষরা প্রথমে লখনউ থেকে বাংলাদেশের সাগরদাঁড়িতে এতে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই প্রথম পুজোর সূচনা হয়। এরপর তিনশো বছরের বেশি আগে, পরিবারের এক আরেক সদস্য শ্যমরাম গোবরডাঙার ইছাপুরে আসেন। কথিত আছে, সেখানকার চৌধুরী পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের সূত্রেই তিনি জমিদারির কিছুটা অংশ পান। পরবর্তীতে ছেলে খেলারাম মুখোপাধ্যায় গোবরডাঙার জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। ৩১১ বছর আগে তিনিই এখানে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। মা কালী প্রসন্ন হওয়ায় স্ত্রীর পুত্রসন্তান হয়েছে বলে মনে করতেন খেলারাম। তাই ছেলের নাম রাখেন কালীপ্রসন্ন।
সেই থেকে বংশের প্রত্যেক ব্যক্তির নামের সঙ্গে ‘প্রসন্ন’ শব্দটি যুক্ত থাকে বলে দাবি বংশের অষ্টম পুরুষ অঞ্জনপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের। এই বাড়ির দুর্গা তাই প্রসন্নময়ী দুর্গা নামে খ্যাত। এটি গোবরডাঙার জমিদার বাড়ি বলেও পরিচিত। তবে খেলারাম মুখোপাধ্যায়ের পত্তন করা জমিদার বাড়ি আজ নেই বললেই চলে। কথিত আছে, খেলারাম স্বপ্নে দেখা রূপ অনুসারে মায়ের মূর্তি স্থাপন করে প্রসন্নময়ী কালী মন্দির নির্মাণ শুরু করেন।
কিন্তু মন্দির তৈরি হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। পরে ছেলে কালীপ্রসন্ন মন্দির নির্মাণ করেন। প্রতিপদে ওই কালী মন্দিরে ঘট বসে। সপ্তমীর দিন ঘট জমিদার বাড়িতে আনা হয়। অতীতে ষষ্ঠীর দিন জমিদার বাড়িতে কামান দাগা হতো। জমিদারিতে বিরাট হাতিশালাও ছিল। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হাতি থাকত। সেই রীতিও আজ আর নেই।