যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের ধর্মঘট তুলে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের যে সমস্ত দাবি যুক্তিসঙ্গত, সেগুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু যেগুলি পূরণ করা সম্ভব নয়, সেগুলি কীভাবে মানব? সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে এভাবে আন্দোলন করা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, স্থায়ীকরণ সহ সাত দফা দাবির সমর্থনে পুজোর আগে বিক্ষোভ শুরু করেন দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই বাস চালক ও কনডাক্টর। তাঁদের অভিযোগ, আন্দোলন সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত কোনও আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তাই কর্মবিরতি চলছে।
বর্তমানে দুর্গাপুর ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটে প্রায় ৪০টি বাস চলাচল করে। কর্মবিরতির জেরে নির্দিষ্ট কয়েকটি রুটে মাত্র আটটির মতো বাস চলছে। আসানসোল ডিপোতেও বাসের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। সেখানে কর্মবিরতির জেরে এখন ছ’টি বাস চলছে। ডিপোর স্থায়ী কর্মীরাই সেগুলি চালাচ্ছেন।
দুর্গাপুর ডিপোয় আন্দোলনকারী গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, মাসে ২৬দিন কাজের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। সেই বিষয়টি আমরা শুনতেও পাচ্ছি। কিন্তু লিখিত আশ্বাস না পাওয়ায় আমরা তা বিশ্বাস করতে পারছি না। সেই আশ্বাস না পেলে কর্মবিরতি চলবে। এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, আমাদের সরকার বন্ধের রাজনীতির বিপক্ষে। আমাদের না জানিয়ে তাঁরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। স্থায়ীকরণ ও ২৬ দিন কাজের দাবি করেছেন। আমরা ডিউটি শুরু করার জন্য বলেছি। আমরা ২৬ দিনের কাজ দেব। বাকি দাবিগুলি নিয়ে কালীপুজোর পরে বৈঠক করা হবে।